সাতক্ষীরায় ধর্ষণের শিকার দু’শিশু: পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারিনি

ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা:  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন ও ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া, সিলেটের এমসি কলেজে নববধুকে গণধর্ষণসহ সারাদেশে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সারা দেশ যখন উত্তাল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যখন নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ঠিক তখনই সাতক্ষীরায় দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারের খবর দিতে পারেনি।

জানা গেছে, আশাশুনিতে মোবাইলে ছবি দেখানোর নাম করে ৭বছর বয়সী এক শিশুকে ১৮ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাসিমাবাদ গ্রামে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে ওই গ্রামের পারুল বিবির পুত্র তরিকুলের নামে আশাশুনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভিকটিমের মাতা জানান, তরিকুল তার ফুফু শাশুড়ির ছেলে। তার ঘরের পাশেই তরিকুলদের ঘর। সোমবার দুপুরে তরিকুল মোবাইলে ছবি দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে তার ঘরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনে তরিকুলের ঘরের মধ্যে গেলে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় মেয়েটি বিবস্ত্র অবস্থায় কান্না-কাটি করছিল। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ওই রাতেই মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায়, ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে তরিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০৮(১০)২০ নং ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তরিকুল পলাতক রয়েছে।

অপরদিকে, একই দিনে আশাশুনি সদরের আদালতপুরে ৫০ বছরের অর্ধ বয়সী এক নারী লোভী নরপশু কর্তৃক ৩য় শ্রেণি পড়–য়া এক শিশুকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে থানায় আরও একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী আদালতপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিকের স্ত্রী কর্তৃক থানায় লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সোমবার দিন সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে দুর্গাপুর প্রাথমিকের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী পাশের বাড়ির শিশুদের সাথে লুকোচুরি খেলছিল। এসময় পাশের বাড়ির মৃত কাশেম গাজীর লম্পট পুত্র ইসলাম গাজী অন্য শিশুদের হাত ধরে টানাটানি করে। এসময় ইসলাম গাজী তাদের বাড়িতে যেতে বলে ভিকটিম শিশুটিকে নিয়ে লম্পট ইসলাম বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রান্নাঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করার এক পর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিলে লম্পট ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় শিশুর মাতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০৬ (১০)২০ নং পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

দু’ঘটনায় দু’ধর্ষককে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির জানান।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।