পুলিশের বাধাঁয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি পন্ড হয়ে গেছে। দেশ জুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষন এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার শহরে মানববন্ধন কর্মসূচী দেয় জেলা বিএনপি। সকাল ১০টায় টিএরোডে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের কয়েকটি ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। এসময় পুলিশের সাথে জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ.বি.এম মোমিনুল হক, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরীসহ কমপক্ষে ৫জন নেতাকর্মী আহত হন বলে দলের নেতারা দাবী করেন। তবে এঘটনায় পন্ড হয়ে যায় মানববন্ধন কর্মসূচি। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
দলের নেতাদের মধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদল সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি শেখ হাফিজ উল্লাহ, সাধারন সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী প্রমুখ। এব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সভা করার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে মারমুখী হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিএনপি জিরো টলারেন্সে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন অনতিবিলম্বে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম ধস্তাধস্তি এবং বিএনপি’র কারো আহত হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান।