স্টাফ রিপোটার:: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা শরবত মোল্লা হত্যা মামলার প্রধান আসামী খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদত শাহানেওয়াজ ডালিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলামের ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন শুনানী শেষে আমলী আদ্লাত ৮ এর বিচারক ইয়াসমিন নাহার এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর পহেলা অক্টোবর দিবাগত রাত একটার দিকে আশাশুনি শরবৎ হত্যা মামলার প্রধান আসামী শাহনেওয়াজ ডালিম কে ঢাকার খিলখেত এলাকার নিজস্ব বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ অক্টোবর তাকে জিজ্ঞাসাবােদর জন্য ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে শাহানেওয়াজ ডালিমকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসী বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর শুক্রবার তাকে জেলখানা থেকে তাদের জিম্মায় নিয়ে আসা হবে।
আশাশুনি খাজরা ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ মন্ডল এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খাজরা
ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মোড়ল, খাজরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী, যুবলীগ নেতা রিপিয়ান হোসেন, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, হোসেন আলী, রাম পদ সানা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড আওয়াামীলীগার ও জামাত বিএনপির সক্রিয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বারবার নির্বাচিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারমান আলহাজ্ব এস এম শাহনাওয়াজ ডালিমের নামে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। বক্তারা আরও বলেন, আজকের এই জনসমাগম জানান দেয় চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা। আজকে সমাবেশে আসতে সন্ত্রাসী রুহুল কুদ্দুস বাহিনীর ক্যাডারা ডালিম চেয়ারম্যান সমার্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ১০/১২ জনকে আহত করেছে। বক্তারা অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে নি:শর্ত মুক্তি ও জনগনের চেয়ারম্যানকে জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহবান জানান। এসময় হাজার হাজার নারী পুরুষ চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা প্রত্যাহারসহ তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। মানববন্ধন ও সমাবেশ মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।