নোয়াখালীর নারী নির্যাতনকারী দেলোয়ার অটো রিকশা চালক থেকে আওয়ামী লীগ নেতা হয়েই তার অপরাধের বিস্তার ঘটাতে থাকেন। হয়ে ওঠেন একটি বাহিনীর প্রধান।
এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে গঠন করা স্থানীয় হৃদয় বাহিনীর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজেও বাহিনী গড়ে তোলেন দেলোয়ার। অভিযোগ রয়েছে, এসময় স্থানীয় এক নেতা তাকে প্রশ্রয় দেন।
এ কারণে দেলোয়ার গ্রেপ্তার হলেও ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নন স্থানীয়রা। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মেয়র একে অন্যকে দুষছেন।
বেগমগঞ্জের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন অভিযোগ করেন, এলাকায় এমন বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা মদদ দিচ্ছেন।
সংসদ সদস্যের বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, ধর্ষণ-নারী নির্যাতন এবং সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দূর করে এলাকায় শান্তি চান তারা।