সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জামায়াত কর্মী ইসমাইল কর্তৃক এলাকার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের আব্দুল হাই সরদারের পুত্র সালাউদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হওয়ালভাংগী এলাকার চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার কমান্ডার আহম্মদ আলী সরদারের পুত্র জামায়াত নেতা মাওঃ ইসমাইল কৌশলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষকে নানান ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। মাওঃ ইসমাইলের পিতা সাবেক মেম্বর আহম্মদ আলী সরদার ১৯৭১ সালে যুদ্ধাকালীন সময়ে যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। সে সময় এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে গুলি করে হত্যা করে। তার হাতে নিহত হন আটুলিয়া ইউনিয়নের বিড়ালহ্মী গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মোল্যা, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের আব্দুল বারী, আক্কাজ ও বাবুসহ আরো অনেকে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলাও রয়েছে। পিতা রাজাকার হওয়ায় বিগত সময়ে জামায়াতের এমপি গাজী নজরুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারি প্রতিষ্ঠিত রাবেয়া খাতুন মহিলা মাদ্রাসায় চাকুরি গ্রহণ করেন ইসমাইল হোসেন। বিগত ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগ সরকারকে পতনের লক্ষ্যে নওয়াবেঁকী এলাকায় জননেত্রী শেখ হাসিনার কবর রচনা করেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন ওই মাওঃ ইসমাইল হোসেন। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিস ভাংছুর, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মারপিটসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করে। পরে নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাজউদ্দীন আহমেদ বাদী হয়ে একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার ১৬১ নং আসামী মাওঃ ইসমাইল হোসেন। মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার হাতে পায়ে ধরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। তার মত জামায়াত ক্যাডার আওয়ামীলীগের পদ পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। দলীয় পদ লাভ করে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। কিন্তু অর্থ না থাকায় এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত চেক জমা দিয়ে টাকা গ্রহণ করে। আমার কাছ থেকে ২লক্ষ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং আমাকে ইসমাইল হোসেন ২লক্ষ ২০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে সঠিক কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অথচ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া টাকা কাউকে ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। এর জের ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর‘২০ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা মারপিটের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে উল্লেখ করেছে, আমরা নাকি তুচ্ছ ঘটনায় তাকে এবং তার স্ত্রী রশিদা পারভীন কে মারপিট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। ওই দিন তাকে মারপিট করা হয়নি। পাওনা টাকা পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যেই এধরনের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলন, বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তিনি উক্ত রাজাকারপুত্র, ইসমাইলের বহিস্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।