পাকিস্তানের বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও করাচির জামিয়া ফারুকিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ড. আদিল খানকে শনিবার রাতে করাচিতে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হামলায় চালকও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মাওলানা আদিল পাকিস্তানের দেওবন্দ ঘরণার প্রয়াত বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সালিমউল্লাহ খানের পুত্র, যিনি জামিয়া ফারুকিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাওলানা আদিলকে বহনকারী ভিগো গাড়িটি শাহ ফয়সাল কলোনির একটি শপিং সেন্টারের কাছে মিষ্টি কেনার জন্য থামলে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
মাওলানা ড. আদিল খানকে হত্যাকে ‘নিন্দনীয়’ উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই তার সরকার ভারতীয় ‘টার্গেট কিলিং’ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে শিয়া ও সুন্নী সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষে ভারত চেষ্টা করে আসছে।
এদিকে আজ রোববার মাওলানা আদিলের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার লাশ জামিয়া ফারুকিয়া নেয়া হয়। এসময় পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সিনেট সদস্য আব্দুল গাফুর হায়দারি, মুফতি তাকী উসমানী, মাওলানা রাফি উসমানি, মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ জলান্ধরী ও মাওলানা রশিদ মেহমুদ সোমরো উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক ওমর শহিদ হামিদ বলেছেন, মাওলানা আদিল হত্যার ঘটনার পুলিশ দুটি সম্ভাব্য কারণ নিয়ে কাজ করছে।
সূত্র : ডন