ক্রাইমবাতা রিপোট: দেবহাটা: ফেসবুকে আপত্তিকর ও কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠুন কুমার মন্ডলকে সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে আটক করেছে করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে দেবহাটা উপজেলার নারিকেলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আককৃত মিঠুন কুমার মন্ডল (২২) দেবহাটা উপজেলার নারিকেলী গ্রামের জুগল মন্ডলের ছেলে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, মিঠুন মন্ডল যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। বর্তমানে গ্রামের বাড়ি দেবহাটায় রয়েছে। ফেসবুকে আপত্তিকর ও কটুক্তি করে মন্তব্য করায় তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য: দেশের চলমান ধর্ষণ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ করছেন। এমনই এক ব্যক্তির প্রতিবাদ কমেন্টে মিঠুন কুমার তার ফেসবুক আইডি থেকে কটুক্তি করেন। এটির স্কিনশর্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসলে তাকে আটক করা হয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাঃকে নিয়ে কুটুক্তি,যবিপ্রবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মোঃ রাসেল হোসেন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে নিয়ে কটূক্তি, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠুন মন্ডলের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ছাত্রত্ব কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে যবিপ্রবির উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি, শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির জরুরি সভায় তার ছাত্রত্ব বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
সভায় মিঠুন মন্ডলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের এবং এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. মেহেদী হাসান। কমিটির সদস্যরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড.ইঞ্জি এবং সদস্য সচিব কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিন ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. নাসিম রেজা, ড. মো. মেহেদী হাসান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড.ইঞ্জি, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি প্রমুখ।