আবু বক্কর ওই আবাসিক ভবনে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে। ভবনের মালিক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর পুলিশ আসার খবর পেয়ে তাকে নিজ বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এ সময় তিনি নিজেও পালিয়ে যান।
গত ৫ই অক্টোবর ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছিলো বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের পিতা।
কিশোরীদের পিতা আরও জানান, তিনি একটি ডেকোরেটরের দোকানে চাকরি করেন।
তার এক মেয়ের বয়স ১২ বছর, অপরটির বয়স ১৪-১৫। দুই মেয়েকেই তিনি স্থানীয় একটি কারখানাতে কাজে লাগিয়েছিলেন। নিয়মিত কাজে না যাওয়ায় তিনি ছোট মেয়েকে মারধর করেন। এতে গত ৫ই অক্টোবর ভয়ে তার দুই মেয়েই কাজে গিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় না ফিরে এলাকায় ঘুরছিল।
জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরার সময় বাড়ির কেয়ারটেকার আবু বক্কর মেয়েদের ফুঁসলিয়ে ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অনেক রাতে তারা বাড়িতে ফিরে পরদিন বিষয়টি বিস্তারিত পরিবারকে জানায়।
ওই রাতেই ভুক্তভোগীদের পিতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গেলে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা বড় অফিসার নেই বলে তাকে পরদিন যেতে বলে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় রহিম মেম্বারের ছেলে মনির বিষয়টি নিয়ে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীরকে অবগত করে মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তালবাহানার একপর্যায়ে সোমবার এলাকার যুবকরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয় এবং আবু বক্করকে ধরতে যায়।
অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর তার কেয়ারটেকার আবু বক্করকে ৬ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ তার সন্ধান পেয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে আবু বক্করকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর গা ঢাকা দেয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, গত ৫ই অক্টোবর মৌচাকের একটি কারখানা থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবু বকর ওই কিশোরী দুই বোনকে রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে নাতনি ডেকে তার বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি সোমবার রাতে জানাজানি হলে এলাকাবাসী থানায় ফোন করে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বাড়ির কেয়ারটেকার অভিযুক্ত আবু বকরকে ওই ভবনের ৬ তলার একটি কক্ষ থেকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।