ক্রাইমবাতা রিপোট: টাঙ্গাইলে আট বছর আগে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১৫) গণধর্ষণের দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের পর ধর্ষণ মামলার প্রথম রায় এটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট নাসিমুল আকতার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাগর চন্দ্র, সুজন মনি ঋষি, রাজন, সনজিৎ এবং গোপি চন্দ্র শীল। এর মধ্যে সনজিৎ এবং গোপি চন্দ্র শীলকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা রয়েছে। তবে বাকিরা এখনও পলাতক।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ভূঞাপুরে এক নারীকে অপহরণের পর গণধর্ষণে ঘটনা ঘটে। রায় ঘোষণার সময় সঞ্জিত ও গোপি চন্দ্র শীল নামে দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি জামিন নিয়ে পলাতক।
উল্লেখ্য, ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধিত আইনটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।