প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। মুঠোফোনের বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজ অঙ্গনে তার পথচলা শুরু। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ‘চাচ্চু’, ‘দাদী মা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’সহ অনেক হিট ছবিতে। ছোট্ট সেই দীঘি এখন পুরোদস্তর নায়িকা। নায়িকা হিসেবে ইতোমধ্যে একটি সিনেমার কাজ শেষ করে ফেলেছেন। নাম ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’। এর পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। গত মাসে ছবিটির দৃশ্যধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান দীঘি।
কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ভাবতেই অবাক লাগছে পুরো একটা সিনেমার কাজ শেষ করে ফেললাম। আসলে টিমের সবাই যে যার কাজে সচেতন থাকায় দ্রুতই কাজটি শেষ হয়েছে। শামীম আহমেদ রনি দুর্দান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার সহকর্মীরাও ভালো সাপোর্ট দিয়েছেন। সব মিলিয়ে অনেকদিন পর কাজে ফেরার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। দর্শকরা উপভোগ করবে এমন একটি প্রোডাকশন হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়। শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে চুক্তিবদ্ধ হওয়া সিনেমার অরেকটির শুটিংও শুরু হতে পারে বলে উল্লেখ করেন দীঘি। এদিকে এরমধ্যে নতুন কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে দীঘি বলেন, অন্য প্রযোজনা সংস্থার আরও দুইটা নতুন সিনেমায় কাজের কথা চলছে। চলতি মাসেই ঘোষণা আসবে। তখনই বিস্তারিত জানা যাবে। নায়িকা হওয়ার আগেই দীঘি শিশুশিল্পী হিসেবে ৩০টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। ছোট বয়সেই তিন তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এখন দীঘির নায়িকা হওয়ার মিশন কেমন হয় সেটাই দেখার পালা। এই সময়ে সিনেমার ব্যস্ততা কেমন লাগছে? উত্তরে দীঘি বলেন, ব্যস্ততাটা খুব উপভোগ করছি। এটা আমাকে আনন্দ দিচ্ছে। শুটিংয়ের বাইরে দীঘি পড়াশোনা নিয়েও ব্যস্ত। স্টামফোর্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে বলেও জানান দীঘি। তিনি বলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও ঠিকঠাকভাবে করতে চাই। তাই কিছুদিন বিরতি নিয়ে শুটিং করছি যাতে কোনো সমস্যা না হয়। এদিকে সাত মাস পর প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেয়ায় উচ্ছ্বসিত দীঘি। তিনি বলেন, প্রতি মাসে অন্তত দু্ইটা সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হয় আমার। অনেকদিন হলে না যেতে পারায় খুব মিস করছিলাম। সিনেপ্লেক্স খুলে দিলেই হলে দৌঁড় দিব।