ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুই সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী খুনের ঘটনায় নিহত শাহিনুরের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলামকে ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের বিচারক ইয়াসমিন নাহারের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন সিআইডির কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সাতক্ষীরার কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার রিমান্ড শুনানির ধার্য দিনে আসামি রায়হানুলকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর উভয় পক্ষের রিমান্ড শুনানি শেষে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালত-২ এর বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে কলারোয়ায় চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিহতের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়। সাতক্ষীরা কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, রায়হানুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবেনা। তাকে আমলী আদালত-২ এর বিচারক ইয়াসমিন নাহারের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত: ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলশি গ্রামে মাছ ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, পুত্র মাহি ও কন্যা তাসনিমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। অক্ষত থেকে যায় ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা মারিয়া। রাতে শাহিনুলের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে হত্যা মামলা (নং ১৪) দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডি পুলিশকে।
উল্লেখ্য, কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামের শাহাজান ডাক্তারের ছেলে হ্যাচারি ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, নয় বছরের ছেলে সিয়াম ও ছয় বছরের মেয়ে তাসনিমকে দুর্বৃত্তরা বুধবার দিবাগত রাতে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চার মাসের শিশু মারিয়া সুলতানার দায়িত্বভার নিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা কামাল। তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা ও বেড়ে ওঠার সব ব্যয়ভার বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শিশুটি বর্তমানে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের হেফাজতে রয়েছে।