আশাশুনি উপজেলার বৈকরঝুটি গ্রামে নিজের মৎস্য ঘেরের পানিতে হত্যার পর ডুবিয়ে রাখা ঘের মালিক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম চন্দ্র শেখর সরকার। হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়নি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
পরিবার, প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, শোভনালী ইউনিয়নের বৈকরঝুটি গ্রামের শংকর সরকারের পুত্র চন্দ্র শেখর সরকার (২২) রবিবার সন্ধ্যায় খাওয়া দাওয়া শেষে প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ির নিকটবর্তী চারানী বিলে মৎস্য ঘেরে যায়। সাড়ে চার বিঘা জমির মাছের ঘেরের বাসায় সে রাত্র পৌণে ১২ টা পর্যন্ত মোবাইলে ফেসবুকে ছিল। সোমবার সকালে সে বাড়িতে না আসায় ১০ টার দিকে তার মা মাছের ঘেরে গিয়ে বাসার দরোজায় তালা ঝুলতে দেখে ফিরে আসেন। এরপর অনেক খোজাখুজি ও তার মোবাইল ফোনে রিং করলে একবার রিং হলেও পরবর্তীতে অফ হয়ে যায়, তখন তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তার কাকা ধোনা সরকার ১১টার দিকে আবার মাছের ঘেরে গিয়ে বাসার সামনে কিছু টানাটানির চিহ্ন ও ঘেরের পালা (কঞ্চি/ডাল) অগোছালো দেখতে পেয়ে সন্দেহজনক ভাবে পানিতে নেমে পালা উঠালে মৃতদেহ ভেসে ওঠে। সাথে সাথে পুলিশে খবর দিলে অতিঃ পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, সহাকরী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) আলহাজ্ব শেখ ইয়াছিন আলি, ওসি মোঃ গোলাম কবির ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেন। পিবিআই এর একটি টিমও ঘটনাস্থলে পৌছেছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ওসি গোলাম কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মোটিভ ও হত্যাকারীদের সনাক্তে জোর তদন্ত চলছে। নিহত চন্দ্র শেখরের বোন সাংবাদিকদের জানান, কার্ত্তিক সরকারের পুত্র রাম জয় সরকার, সম্প্রতি আমাকে ভাইকে সাবধানে রাখিস বলে শাসিয়েছিল। তার কয়েক দিনের মাথায় চন্দ্র শেখর খুন হয়। দু’পরিবারের মধ্যে প্রেমঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশর্^বর্তী প্রদীপ সরকারের ভাই ১০/১২ বছর আগে আত্মহত্যা করেছিল। এঘটনাও এলাকাবাসী সন্দেহ করছে। তবে সঠিক কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।