কলারোয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার দায় থেকে পিতাকে
অব্যহতি দেওয়ার দাবিতে পুত্রের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মিথ্যা শিশু ধর্ষণ মামলার দায় থেকে পিতাকে অব্যহতি দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের আজগর আলীর পুত্র গোলাম রাব্বি।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার পিতা পাশ্ববর্তী বাজার পাশে রাস্তার ধারে একখ- জমিতে চারাগাছ বিক্রয় করেন। আমার ৫বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার কন্যার সাথে মাঝে মাঝে একই এলাকার জাকির হোসেনের ৫ বছর বয়সী কন্যা সুমাইয়া আমার পিতার নার্সারীতে খেলা করতে আসতো। আমার পিতা তাদের দুইজনকেই খাবার কিনে দিত। কিন্তু গত ১৪/১০/২০২০ তারিখে উক্ত সুমাইয়া আমার পিতার নার্সারী থেকে দুটি এলোভেরা গাছের চারা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমার পিতা তাকে গাছ চুরির অপরাধে একটি চড় মারেন। আর এটিই কাল হলে তার জন্য। এই বৃদ্ধা বয়সের স্থানীয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষনের মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। অথচ ধর্ষনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। মামলা এজাহারে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও মামলার বাদী জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী সামছুন্নাহার সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন আমরা কোন ধর্ষনের মামলা করিনি। যিনি এজাহার লিখেছেন তিনিই এসব লিখিছেন। এপর্যন্ত তার বিরুদ্ধে এধরনের কোন অভিযোগ ছিলনা, বর্তমানেও নেই। এছাড়া ঘটনার সময় ও যে স্থান উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত সময়ে আমার পিতা মসজিদে অবস্থান করছিলেন। যা স্থানীয় মুসুল্লী ও মসজিদের ইমাম সাহেব অবগত আছেন। তাছাড়া ঘটনার স্থানটি একেবারে বাজারের রাস্তার ধারে। সেখানে একজন শিশুকে ধর্ষন করা হবে শিশুটির চিৎকার কেউ শুনবে না এমনটি কিভাবে হতে পারে। তাছাড়া আমার পিতার নৈতিক চরিত্র অত্যান্ত সন্তোষ জনক। কিন্তু এই শেষ বয়সে পরিকল্পিতভাবে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজত খাটানো হলো। এঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। ভেঙে পড়েছেন। তিনি ওই শিশু কন্যাকে নিজের নাতনীর মতই যতœ করতেন অথচ পরিকল্পিতভাবে আমার পিতাকে হয়রানি করা হয়েছে। এঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক উক্ত মিথ্যা শিশু ধর্ষন মামলার দায় থেকে আমার পিতাকে অব্যাহতি প্রদানের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।