সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মিথ্যে মামলা থেকে স্কুল শিক্ষক পিতার অব্যহতির দাবিতে সন্তানদের সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক নারী কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ডা গ্রামের শিক্ষক ফারুক হোসেনের ছেলে রানা ও মেয়ে রিম্পা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রানা জানান, আমার পিতা ফারুক হোসেন আশাশুনি উপজেলার কাঠামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শুনামের সাথে শিক্ষাকতা করে আসছেন। কিন্তু কাপসন্ডা গ্রামের প্রতারক সাবিরা খাতুনের ষড়যন্ত্রে তিনি দিশাহার হয়ে পড়েছেন। সাবিরা খাতুন ও তার স্বামী মোস্তাফা সরদার ইটভাটায় কাজ করে। ওই মহিলার সাথে আমার পিতার পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে ওই মহিলা পর পর দু’টি মিথ্যে নাটক সাজিয়ে আমার পিতার নামে মামলা দায়ের করে। সাবিরা প্রথম মামলাটি ঘটনার একমাস পর ২০১৯ সালের ৩ জুন দায়ের করে। মামলাটি মিথ্যে হওয়ায় তদন্তকারি কর্মকর্তা ফাইনাল রির্পোট দিয়ে ১৭ ধারামোতাবেক বাদীর বিরুদ্ধে মামলার করার সুপারিশ করেন। এছাড়া জুডিশিয়াল তদন্তেও মামলাটি মিথ্যে বলে প্রমানিত হয়।
রানা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনা মিথ্যে হওয়ায় পুলিশ আদালতে প্রথম মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে সাবিরা খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে আরো একটি মিথ্যে মামলা করলে গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান এবং ১৪ তারিখ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এঘটনার পর সাবিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাকে অপহরণ পূর্বক মারপিট করেছে মর্মে অভিযোগ এনে তার স্বামী মোস্তফাকে দিয়ে কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। মামলায় স্বামীর ঠিকানা দেয়া হয় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল। অথচ এজাহারে বলা হয়েছে তাকে তালা থেকে অপহরণ করে কলারোয়ায় নিয়ে মারপিট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। আমার পিতাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে চাকুরি নষ্ট করে সর্বশান্ত করতে এবং সমাজের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করতে ওই পরিবারটি বার বার এধরনের মিথ্যে নাটক সাজিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি আরো বলেন, দুশ্চরিত্রবান মাহিলা সাবিরা’র হীন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শুধু আমার পিতা একা নয়, আমরা পুরো পরিবার আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমার এক ভাই সরকারি চাকুরি করেন। আমরা অন্য ভাই-বোনরা লেখাপড়া করি। শুধুমাত্র ওই মহিলার কারনে আমরা পরিবারের সবাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক সাবিবার দায়ের করা মিথ্যে মামলার দায় থেকে তার পিতা স্কুল শিক্ষক ফারুক হোসেনকে অব্যহতি এবং মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করায় ওই মহিলা ও তার স্বামীসহ তাদের ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।