টানা বৃষ্টিতে দেশজুড়ে ভোগান্তি

# সব রুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ # দুর্ভোগে উপকূলবাসী
স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। তবে এদিন মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি অঝোরে চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকালও সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে নিম্নচাপের প্রভাবে চলমান এই বৃষ্টি থাকতে পারে আরো কয়েকদিন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি পাঁচ দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের মেঘ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো বাতাসের প্রভাব থাকবে। তবে আগামী রোববার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ছুটির দিন থাকলেও ব্যক্তিগত কাজে এক স্থান থেকে অন্যত্র চলাচলকারীরা ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে মিরপুর, মতিঝিল, ধানমণ্ডি, কারওয়ানবাজার এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের। এসব এলাকায় কোথাও কোথাও হাঁটুপানি জমেছিল।
ছুটির দিন হওয়ায় অফিসগামী মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তিই এনে দিয়েছে এমন বৃষ্টি। তবে দুর্ভোগও হয়েছে কারো কারো। কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা থাকায় অনেককে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটতে দেখা গেছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সকাল বেলার সবজি বিক্রেতা বা এমন ছোট ছোট দোকানি সকালে দোকানপাট খুলতে পারেননি। কিছু কিছু খুললেও বৃষ্টির দাপটে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি আর।
বৃষ্টিতে গণপরিবহন কিছুটা কমেছে ঢাকার পথে। গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি কিংবা রিক্সার মতো পরিবহন ব্যবহার করছেন অনেকে। সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়েছেন রিক্সা ও সিএনজি চালকেরা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পথে বেরিয়েছেন তাশফিয়া তাসনিম তিশা। ফার্মগেট এলাকায় সমকালকে তিনি বলেন, বৃষ্টির দিনে বেশ কষ্ট হয়েছে পথে বের হতে। অনেকটা নিরুপায় হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুর, কলেজগেইট, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, শাহবাগসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি জমতে দেখা গেছে। এসব জায়গায় প্রধান সড়কে পানি তেমন না উঠলেও গলিতে পানি জমেছে বেশ। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতভর বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জোয়ারের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জমেছে হাঁটু পানি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর হাজার হাজার মানুষ।
সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভোলা-বরিশাল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে সব ধরনের লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বি আইডব্লিউটিএ)। বি আইডব্লিউটি’র বরিশালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বি আইডব্লিউটি ভোলার সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, বৈরী ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ফেরি সার্ভিসসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এসব লঞ্চ রুটের মধ্যে রয়েছে ভেদুরিয়া-বরিশাল, ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাট, দৌলতখা-আলেকজেন্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, ভেলুমিয়া-পটুয়াখালি, বোরহানউদ্দিন-লক্ষীপুর, বেতুয়া-মনপুরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, নিম্নচাপটি এখনো সমুদ্রে অবস্থান করছে। তবে আজ সকালের মধ্যে এটি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর আবহাওয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে উপকূলীয় নিম্নচাপ সম্পর্কে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে ২২ থেকে ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের উপকূল থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত এবং ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি জোয়ার হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলো এবং সেসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল ব্যাহত হবে। এ কারণে নৌযানগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দুর্ভোগে উপকূলবাসী  
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন প্রস্তুতি নিলেও টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এমনটাই জানা গেছে।
পটুয়াখালী : নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে কখনও ভারি আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ্ বলেন, সাগরে কোনো মাছ ধরার ট্রলার নেই। নদীতে দুই একটি থাকতে পারে। ইলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে যাতে মাছের ঘের ভেসে না যায় সেজন্য চাষিদের ঘরে জাল দিয়ে রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কাজী কেরামত বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৮৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা পটুয়াখালীর গত ৪ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
বরগুনা : বরগুনায় টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে পানি বেড়েছে জেলার প্রধান নদ-নদীর। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেতসহ শত শত মাছের ঘের। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বরগুনা জেলা শহর থেকে শুরু করে ছয়টি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা। বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি জমেছে। জলমগ্ন জেলার সিংহভাগ অংশ।
গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে এখনও পর্যন্ত অব্যহত রয়েছে। তিনদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মাঠে-ঘাটে থইথই করছে পানি। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে।বরগুনার উপর দিয়ে প্রবাহিত পায়রা-বলেশ্বর ও বিষখালি তিনটি নদীরই জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ ও ভারি বর্ষণের ফলে নদীর পানি তিনফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
বরগুনা পাউবোর পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন জানান, সবশেষ জোয়ারে বরগুনার তিনটি নদীর পানিই স্বাভাবিকের চেয়ে তিনফুট বেড়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আমনের মৌসুমে ধানে শীষ ধরেছে। এমন ভারি বর্ষণে জেলার কয়েক লাখ হেক্টর আবাদি আমনের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শীতের আগাম সবজি চাষও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে বরগুনায় মৎস্যখাত সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত শত মাছের ঘের ইতোমধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আমরা তালিকা তৈরি করার কাজ শুরু করেছি। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর আমরা পাইনি। তবে বেশ কিছু স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ আছে। এরকম টানা বৃষ্টি থাকলে সেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে বরগুনার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
বাগেরহাট : বাগেরহাটে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। মোংলা সমুদ্র বন্দরে এই মুহূর্তে ১১টি দেশি বিদেশি জাহাজ অবস্থান করছে। তবে বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকলেও স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মোংলা বন্দরে ১১টি দেশি বিদেশি জাহাজ রয়েছে। আজ ভারি বর্ষণের মধ্যেও বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের ফলে বাগেরহাটসহ উপকূলীয় অঞ্চলে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত এই বৃষ্টির ধারা বিরজমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোহাম্মাদ আলী।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারি বর্ষণের প্রভাবে আমন ধান ও রবিশষ্য বিশেষ করে টমেটোর কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট, চিতলমারী উপজেলার অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরের মাছ ভেসে যেতে পারে।
নোয়াখালী : উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে নদী উত্তাল থাকায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ নাা দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত মানতে হবে সবাইকে। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা ও বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে জনচলাচল অন্য সময়ের চেয়ে কমে গেছে। কমে গেছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলও।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ১৭৭টি ইউনিটে তিন হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সব সময় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকায় জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে ও সিগনাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জাগো নিউজকে জানান, উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিবেগে বইছে ঝড়ো হাওয়া। বৃষ্টিপাত সন্ধ্যা পর্যন্ত বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, দেশের সকল উপকূলজুড়ে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে এভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত চলবে। সেই সঙ্গে থাকবে ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া। সন্ধ্যার দিকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূল, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার অধিদফতরের ৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। যোগ হবে বাকী জেলা।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।