ব্যাংকিং খাতে তোলপাড় * এজেন্ট ব্যাংকের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

ক্রাইমবাতা ডেস্করিপোট: নীতিমালা হয়নি, অনুমোদন নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদের :রিজার্ভ থেকে ঋণের উদ্যোগ : ব্যাংকিং খাতে তোলপাড় * এজেন্ট ব্যাংকের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন, ৯১ কোটি ডলার ঋণের আবেদন * ব্যাংক ঋণখেলাপি ও পাচার হচ্ছে, টাকাগায়েব হয়েছে শেয়ারবাজার থেকেও। রিজার্ভ হচ্ছে রাষ্ট্রের শেষ ভরসা। এ অর্থ ফেরত না এলে সর্বনাশ হবে -মন্তব্য ব্যাংকারদের

দেশের রিজার্ভ থেকে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রায় কম সুদে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা বেশ তৎপর। যদিও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করছেন।

ঋণ দেয়ার এ উদ্যোগে সরকারি খাতের রূপালী ব্যাংক এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে প্রথমে সম্মত হলেও পরে তারা আবার ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

এখন সরকারি খাতের অগ্রণী ব্যাংককে এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

ব্যাংকটি এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার এমন উদ্যোগের ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে-বাইরে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটি কোনো ক্রমেই উচিত হবে না। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার যে সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠেছে, সে কারণে খেলাপি ঋণ হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে।

বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় যেসব সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিট নেয়া হচ্ছে সেগুলোও খেলাপি হয়ে পড়ছে। গ্রাহকদের পাশাপাশি যেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক নিজেরাই খেলাপি হয়ে পড়ছে।

রিজার্ভের ঋণ ফেরত না এলে দেশের দুর্নাম আরও ভয়ানক হবে। করোনার কারণে এখন ব্যবসায়িক অবস্থায় মন্দা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়াটা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

তারা আরও বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ও পাচার করার অনেক নজির রয়েছে। শেয়ারবাজার থেকেও টাকা সরানো হয়েছে।

এখন আবার রিজার্ভের দিকে নজর পড়েছে।

রিজার্ভ হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের শেষ ভরসা। কোনো কারণে এখান থেকে দেয়া ঋণের অর্থ ফেরত না এলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা। দেশে এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কোনো ঋণ দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। বিষয়টি একেবারেই নতুন। এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়ার আগে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে এর ঝুঁকি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বিশদ পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল।

কিন্তু সে ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বোচ্চ পর্যায়েও ভালোভাবে অবহিত করা হয়নি। এমনকি পর্ষদেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে নেই কোনো নীতিমালাও।

কোনো রকম আলোচনা, নীতিমালা বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ ধরনের প্রস্তাব বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসার পর অনেকেই অবাক হয়েছেন। কী করবেন অনেকেই কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।

কিন্তু রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার বিষয়টি এগিয়ে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে তথ্য প্রদান ও চিঠি চালাচালি হচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথে বেঁকে বসেছে রূপালী ব্যাংক। তারা প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োজিত পর্যবেক্ষক তীব্র আপত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের নতুন একটি বিষয় পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা ব্যাংকের নেই।

কেননা, কোনো কারণে গ্রাহক ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে তা রূপালী ব্যাংকের হিসাব থেকে কেটে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রক্রিয়ায় রিজার্ভ থেকে ঋণের এজেন্ট হলে ব্যাংক বিপদে পড়তে পারে।

এছাড়া প্রকল্পে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। এমন যুক্তিতর্কের পর ব্যাংক নিজ থেকেই প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

এরপর উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এ ঋণের এজেন্ট হওয়ার জন্য অগ্রণী ব্যাংককে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা রিজার্ভ থেকে ঋণ সরাসরি কোনো গ্রাহককে দেয়া যায় না। কেননা গ্রাহকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি কোনো লেনদেন নেই। এ জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এজন্যই রিজার্ভ থেকে ঋণ নিতে এজেন্ট নিয়োগের প্রয়োজন। সূত্র জানায়, রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার উদ্যোগটি বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায় থেকে এখনও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়নি। বিষয়টি এখনও আলোচনা এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে।

এ বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে সীমিত আকারে চাউর হওয়ার পর আরও কয়েকটি গ্রুপ রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকে। ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তাদের এ ধরনের প্রস্তাব পাঠাতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগের আগে যারা এটি পরিচালনা করবেন তাদের প্রশিক্ষণ ও এর ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়া দরকার। রিজার্ভ হচ্ছে দেশের জনগণের সম্পদ।

সরকারের পক্ষে এটি পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। এ থেকে ঋণ দেয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদন দরকার। প্রণয়ন করা জরুরি একটি নীতিমালা।

অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়কে অবহিত করাটাও জরুরি। এসব আনুষ্ঠানিক ছাড়া কোনোক্রমেই রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার বিষয়টি ভাবা ঠিক হচ্ছে না। রিজার্ভ রাখা হয় দেশের জরুরি বা দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য।

এখন দেশে স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়াটা যুক্তিযুক্ত নয়। রিজার্ভ থেকে দেয়া ঋণের অর্থ কোনো কারণে ফেরত না এলে দেশের ভাবমূর্তি যেমন চরমভাবে ক্ষুণ্ন হবে, তেমনি দেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বেশি থাকায় এগুলো ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রিজার্ভ এখন বিদেশের বিভিন্ন সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করে ১ শতাংশের কম থেকে দেড় শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুনাফা পাওয়া যায় না। ঋণ দিলে ৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে।

রিজার্ভ থেকে ঋণ না দিলে বৈদেশিক মুদ্রায় অন্য দেশ থেকে গ্রাহক ঋণ নেবে ৬ শতাংশ সুদে। তখন দেশের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়বে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ এখন চার হাজার ৬০০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) নিরাপদ মান অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো সমান রিজার্ভ থাকতে হবে।

দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রতি মাসে গড়ে খরচ হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার। এ হিসাবে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে খরচ হয় এক হাজার ২৯০ থেকে এক হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।

দেশের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৯ থেকে সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এ বিবেচনায় রিজার্ভ ঝুঁকিমুক্ত। এ কারণে রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ করার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে।

কিন্তু দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে দেশের বর্তমান রিজার্ভ কোনোক্রমেই ঝুঁকিমুক্ত নয়। কেননা করোনার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যেতে পারে।

তখন রিজার্ভ বাড়ার গতি কমে যাবে। এদিকে করোনার উপকরণসহ অন্যান্য সামগ্রীর আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়তে পারে। ফলে এ সময়ে রিজার্ভের অর্থ খরচের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সতর্ক হতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার আগে ব্যাংকিং খাতে নিশ্চিত করতে হবে সুশাসন। গড়ে তুলতে হবে ঋণ ফেরত দেয়ার সংস্কৃতি। কমাতে হবে খেলাপি ঋণের দৌরাত্ম্য।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, রিজার্ভের অর্থ নিয়মিতভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের যে অংশ খরচ হচ্ছে না সেগুলো জমা হচ্ছে রিজার্ভে। আবার ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা না থাকলে দেয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে।

সরকারি খাতের বড় দেনাগুলো পরিশোধের ক্ষেত্রে রিজার্ভ থেকে অর্থ দেয়া হচ্ছে। এভাবে ব্যবহার হচ্ছে রিজার্ভ। তবে রিজার্ভ থেকে এখনও কোনো ঋণ দেয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, বেসরকারি খাতের ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি ওরিয়ন পাওয়ার ইউনিট-২ এর নামে এ ঋণ দেয়ার উদ্যোগ চলছে।

১৩ আগস্ট রূপালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওরিয়ন গ্রুপের ওই কোম্পানির পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ গ্রহণের বিষয়ে এজেন্ট বা ডিলিং ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

এর আলোকে ১৯ আগস্ট রূপালী ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩১ আগস্ট রূপালী ব্যাংকের এমডির কাছে একটি চিঠি লিখে কিছু তথ্য চায়।

এর মধ্যে আছে প্রকল্পে কোন মাসে কোন খাতে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে তার বিস্তারিত বিবরণ, সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি ও রেভিনিউর পরিমাণ, বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত গ্রহণ ও ফেরত প্রদানের সময়সূচি, রূপালী ব্যাংক কর্তৃক প্রকল্প বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন এবং ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমানের সঙ্গে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের সার্বিক তথ্যাদিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার বা ৯ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় খরচ ২৩ কোটি চার লাখ ৫০ হাজার ডলার বা এক হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা।

বৈদেশিক খরচ ৯০ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা সাত হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে উদ্যোক্তা জোগান দেবে ২৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা এক হাজার ৯৫১ কোটি টাকা।

রিজার্ভ থেকে ঋণ নেবে ৯০ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা সাত হাজার ৬১২ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূলধন ও ঋণ অনুপাত হচ্ছে ২০:৮০। ঋণের মেয়াদ হবে সাত বছর।

ঋণের ডেবিট সার্ভিস কভারেজ রেশিও হচ্ছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ রেট অব রিটার্নের হার (আইআরআর) ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ঋণের সুদের হার ৪ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন হলে বিভিন্নভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিচ্ছে।

এর মধ্যে করোনার আঘাত মোকাবেলা করতে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের আকার ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলার করা হয়েছে।

এ তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে। ২০ কোটি ডলার ও ২০ কোটি ইউরো তহবিল গঠন করা হয়েছে, যার সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশ।

উদ্যোক্তারা এসব তহবিল ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজন হলে অন্য ফরমেটে আরও তহবিল গঠন করা যেতে পারে। কিন্তু রিজার্ভ থেকে এত বড় অঙ্কের ঋণ দেয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা এখনও ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।

এছাড়া এত বড় অঙ্কের ঋণ দেয়াটা ব্যাংকের কোনো নীতিমালায়ই পড়ে না। ফলে অনেক নীতিমালায় ছাড় দিতে হবে।যুগান্তর।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।