সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগানের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। শনিবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান বলেন- ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে চীন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে খুব সামান্য সহায়তাই করেছে।’ তার এই দাবি পুরোপুরি অসঙ্গত ও গঠনমূলক নয় বলে উল্লেখ করেছে চীন।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এটি সকলেরই প্রত্যাশা যে, বিগানের এই সফর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের দিকে আলোকপাত করবে। তবে তিনি ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ত্যাগ করার পূর্বেই চীন-ভারত সীমান্তের দ্বন্দ্ব, তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা, দক্ষিণ চীন সাগরের সমস্যাসমূহ এবং হংকংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ টেনে চীনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা শুরু করেন, যেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই৷
এতে আরও বলা হয়, এমন আচরণ কেবল কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মারাত্মক লঙ্ঘনই নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও যথেষ্ট অসম্মানের। তার (বিগান) এই সফরের আয়োজক বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় জাতি যারা বিশ্বাস করে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গেই বৈরিতা নয়। এটিই হওয়া উচিৎ কূটনীতির পথ।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, গত ২০ অক্টেবার বিগানের এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের বিষয় রোহিঙ্গা সংকটকে অবলম্বন করে চীনের সমালোচনা করা এবং নিজেদের পক্ষপাতিত্ব প্রচার করার একটি ধারাবাহিকতা মাত্র।
পোস্টে বলা হয়, যেহেতু আমাদের মধ্যেকার সমস্যা সমাধানের জন্য চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রচুর দ্বিপাক্ষিক উপায় রয়েছে, তাই পূর্ব সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষকে টেনে আনা বিগানের উচিত হয়নি। এখানে আমরা উভয় পক্ষই বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য এসেছি। তাই পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে অপচয় করার মত যথেষ্ট সময় আমাদের থাকা উচিত নয়।