ক্রাইমবাতা ডেস্করিপোট: ঢাকা: এমপি হাজী সেলিমের ছেলে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের বাসা থেকে অস্ত্র, অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, এরফান সেলিমের বাসার শয়নকক্ষ থেকে ৩৫টি ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি গুলিভর্তি শটগান ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার রাতে এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও আজ ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। আজ সোমবার দুপুর থেকে রাজধানীর লালবাগে হাজী সেলিমের বাসায় র্যাব অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে বেলা সোয়া তিনটার দিকে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
আশিক বিল্লাহ বলেন, অভিযান এখনো চলছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান শেষে জানানো হবে বাসা থেকে কী পাওয়া গেছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: হাজী সেলিমের ছেলে আটক
হেফাজতে নেওয়া দুজনের পরিচয় জানাতে গিয়ে আশিক বিল্লাহ বলেন, ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল এবং নোয়াখালীর একজন সাংসদের জামাতা। আর জাহিদ হলেন ইরফানের দেহরক্ষী। তিনি বলেন, গতকাল যে ঘটনায় এদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেই ঘটনাস্থলে দুজনই উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর রাজধানীর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে মারধরের শিকার হন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সাংসদের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর গাড়িটি থেকে কয়েকজন ব্যক্তি নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার একটি মামলা হয়। হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন মারধরের শিকার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান।