ক্রাইমবাতা রিপোট: রাজধানীর চকবাজার এলাকায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের আরেকটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। ওই টর্চার সেলে দূরবীন, হকিস্টিক, লাঠি, মানুষের হাড়, রশি, ইয়াবা খাওয়ার কয়েলসহ নানা সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ারের ১৬ তলায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ওই সময় একটি বড় রুমে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায়। ওই সময় সেল থেকে ওয়্যারলেসের কন্ট্রোল ট্রান্সজেস্টার, বাইনাকুলার, হিট দেওয়ার ট্রান্সমিটার, ছুড়ি, একটি হকিস্টিক, বাঁধার রশি, চোখ বাঁধার গামছা, ইয়াবা খাওয়ার ফয়েল, ওয়াকিটকি, স্ক্রু ড্রাইভারের একটি বক্স, স্যাভলন ও ভিডিও রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত এই ভবনের পাশের ভবনেই তার টর্চার সেল রয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। পরে আমরা এই ভবনের পাশেই আমরা ইরফান মোহাম্মদ সেলিমের একটি টর্চার সেল পেয়েছি। টর্চার সেলে আমরা বিভিন্ন হ্যান্ডকাপসহ বিভিন্ন কিছু পেয়েছি।’
এর আগে সন্ধ্যায় র্যাবের মুখপাত্র লে. ক. আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাড়ির পাশে চকবাজারে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এসময় তিনি বলেন, হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলামকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাদক ও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার অপরাধে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে একবছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। হাজী সেলিমের বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও মাদকের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে দুটি মামলা করবে বলে জানিয়েছেন আশিক বিল্লাহ।
অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফানকে দুই মামলায় ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকেও ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কারাদণ্ড দেন।
আশিক টাওয়ারটি ১৬ তলা ভবন। পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় ভবন এটি। ভবনের ১৬ তলায় হাজী সেলিম মালিকানাধীন মদিনা ডেভেলাপারের অফিস। এর ওপরেই ছাদে টর্চার সেল।