ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যতদূর সম্ভব ইভিএম পদ্ধতিতে হবে। তবে নির্বাচন কয় ধাপে হবে তা নিশ্চিত নয়, ৪/৫ ধাপে হতে পারে। সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে সিইসি নুরুল হুদা এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে ২৫৯টি নির্বাচন উপযোগী বলে ইসিকে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে যেসব পৌরসভার মেয়াদ আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচনী কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘আজকে আমরা লম্বা মিটিং করেছি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন যেগুলো ডিউ হয়েছে, সেগুলো পরিচালনা করা, সিডিউল তৈরি করা এবং রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে যেগুলো আমাদের করণীয়, সে কাজগুলো আমরা ঠিক করেছি। জানুয়ারি মাসের মধ্যে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, ওই নির্বাচনগুলো হয়তো আমরা করে ফেলবো হয়তো ডিসেম্বরের শেষের দিকে। সেরকম প্রস্তুতি আমাদের আছে।’
তিনি বলেন, ‘পৌরসভার নির্বাচনগুলো ইভিএমে হবে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন বা সাধারণ নির্বাচনের সবগুলোতে ইভিএমে করা যাবে না। হয়তো কিছু সংখ্যক করা যেতে পারে, এনআইডির ডিজি যদি পৌরসভার নির্বাচনগুলো ঠিক করার পরে যদি মনে করেন, তার ক্যাপাসিটি আছে মনে হলে হয়তো কিছু নির্বাচন ইভিএমে করবে।’
সিইসি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো করা হবে। এই সময়ের পৌরসভা খালি হবে ২০টির উপরে। এছাড়া অনেকগুলো হবে উপনির্বাচন।
নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা আশা করি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। এগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের অনুমান, ৫টি ধাপে নির্বাচনগুলো শেষ করতে পারবো। তবে এখনও আমরা ঠিক করিনি কয় ধাপে নির্বাচনগুলো করা হবে।’