বন্ধুর জন্মদিন পালন করতে গিয়ে বরিশাল নগরীর যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্র দ্বীপ দাসের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড়শ ফুট দূরে মরদেহটি পাওয়া যায়।
নিহত দ্বীপ দাস নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার মিন্টু দাসের ছেলে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এক বিষয়ে ফেল করায় আবারও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
নিহতের স্বজনরা জানান, দ্বীপের বন্ধু মো. রিয়াদের জন্মদিন ছিল সোমবার (২ নভেম্বর)। দ্বীপ দাসসহ ১০-১২ জন বন্ধু মিলে কীর্তনখোলা নদীতে ট্রলার করে রিয়াদের জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেয়। সেজন্য সন্ধ্যার দিকে দ্বীপ দাস বাসা থেকে বের হয়ে নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্কে যায়।
সেখানে রিয়াদসহ তার অন্য বন্ধুরা কেক নিয়ে অপেক্ষা করছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা একটি ট্রলার ভাড়া করে কীর্তনখোলা নদীতে ঘুরে বেড়ায়। রাত ৮টার দিকে কেক কাটার সময় হৈ-হুল্লোড় করতে গিয়ে ট্রলার থেকে দ্বীপ দাস নদীতে পড়ে যায়। সাঁতার না জানায় সে নদীতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
বরিশাল রিভার ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি মো. রাব্বি শেখ জানান, কীর্তনখোলা নদীর ওই স্থানটির গভীরতা বেশি এবং খরস্রোতা হওয়ায় রাতে তল্লাশি চালাতে ডুবুরিদের বেগ পেতে হয়। এ কারণে রাত ১০টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ফের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড়শ ফুট দূরে দ্বীপ দাসের মরদেহ পাওয়া যায়।
রিভার ফায়ার স্টেশনের লিডার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, দ্বীপ দাসের মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।