নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কারও দয়ায় নয়, জনগণের জন্য কাজের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ টিকে আছে। জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়েই দল চারবার ক্ষমতায় এসেছে। কাজেই কেউ চাইলেই ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারবে না। আমাদের সরানোর জন্য যত বেশি নাড়াচাড়া করবে, আওয়ামী লীগের শিকড় তত বেশি শক্ত হবে। এটাই হল বাস্তব।
শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভায় যুক্ত হন। তিনি এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-এর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের অনেক চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হল, হেফাজতের ঘটনাসহ নানা ধরনের কারসাজির চেষ্টা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে খুন করে ফেলা যায়, হত্যা করা যায়, কিন্তু জনসমর্থন না থাকলে ক্ষমতায় গিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে না। মানুষের কল্যাণও করতে পারে না, এ হচ্ছে বাস্তবতা।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের মঙ্গলে ও কল্যাণে কাজ করেছে, যার শুভ ফলও জনগণ পাচ্ছে। এত অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডের পরও দলটি টিকে আছে শুধু জনগণের সমর্থনের কারণে। আমাদের সরকারের কার্যক্রমে একটা গ্রুপ বা এলিট শ্রেণি সুবিধা পায় না। সুবিধাটা একেবারে গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। সেই কারণে জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমান জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেই প্রথমে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে। এতেই স্পষ্ট হয়, এই ষড়যন্ত্রে খুনি মোশতাকের ডানহাত ছিল জিয়াউর রহমান। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত না থাকলে লন্ডনে টমাস উইলিয়াম এমপির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি কেন? তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনিকে প্রহসনের নির্বাচনে বিজয়ী করে সংসদে বসিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বেঈমান মোশতাক ও তার সেনাপতি জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায় এবং হুকুমে কারাগারের দরজা খুলে খুনিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়, তারাই হত্যাকাণ্ডটা চালায়। শুধু পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়, দেশ ও জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতেই ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা দেখেছি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের খেলা।
জেল হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বরের ঘটনা ঘটল। খুব স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, সব সময় সূর্য ডোবার আগেই কারাগার লকআপ হয়। এরপর কেউ আর প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু সেদিন গভীর রাতে যখন কারাগারে প্রবেশের জন্য ১৫ আগস্টের খুনিরা হাজির হল তখন কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সেখানে বাধা দিয়েছিল। তারা বলেছিল, এভাবে কারাগারে প্রবেশ করা যায় না। সেই সময় অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোন যায়, তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হোক। কারণ তারা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা অস্ত্র নিয়ে যাবে। সে কারণে তারা বাধা দিয়েছিল। কিন্তু বলা হল- তারা যেভাবেই যেতে চায়, সেভাবেই যেন প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এরপরই খুনিরা কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে একটি ঘরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে গড়ে তুলেছিলেন। তখনই আঘাত আসে। কাজেই ১৫ আগস্টের ঘটনাকে যারা এক সময় শুধু একটা পারিবারিক ঘটনা হিসেবে অপপ্রচার চালাতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্যটা ধরা পড়ে যায় ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডে। যেটা পারিবারিক শুধু হত্যাকাণ্ড ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা মানতে পারেনি, স্বাধীন বাংলাদেশকে যারা স্বীকার করতে পারেনি, স্বাধীন বাংলাদেশটাই যারা চায়নি- তাদের দোসররাই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত- সেটাই প্রমাণ হয়। তিনি বলেন, শুধু হত্যাকাণ্ডই নয়, একটা জাতিকে ও একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। একের পর এক ক্যুর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার, সৈনিক, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছিল, কত পরিবার লাশ খুঁজে পায়নি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে। যারা মেধাবী ছাত্র, এক হাতে তাদের কাছে পুরস্কার তুলে দিয়েছে, অপর হাতে তাদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ তুলে দিয়ে বানিয়েছে সন্ত্রাসী। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক- এসব দিয়ে প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার এবং কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি ও সন্ত্রাসী চক্র কিন্তু বসে নেই। তাদের চক্রান্ত চলতেই থাকবে। আমরা যত ভালো কাজই করি না কেন, তাদের মুখ থেকে ভালো কথা বের হয় না। কারণ তারা তো বাংলাদেশের মানুষের কথা ভাবে না। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘটনার পর তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণের কারণে পারেনি। এখানেই তাদের ক্ষোভ। তাদের কাছে ক্ষমতা ছিল ভোগের বস্তু। আর আমাদের কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জনগণের কল্যাণ করা- সেটাই আমরা করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যার জন্ম দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে থেকে। তাই আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নতি হয়, দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে- আমরা তা প্রমাণ করেছি।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে হয়তো ভুলে যান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে শুধু ভোট চুরির অপরাধেই খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিল, বাংলা ভাই-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল। ’৯১ সালেও জামায়াতের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছিল। ভোট চুরির কারণেই দেশের জনগণ ’৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে ভোট দেননি।
তিনি বলেন, দেশের একটি শ্রেণি আছে-তাদের কাজই হচ্ছে সরকারের সমালোচনা করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াসহ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের মূল লক্ষ্যই ছিল দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন ও সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করা। এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে নির্বাচন কেমন ছিল? ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা-নির্বাচন ঠাণ্ডা। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ভোটে হারেনি, ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছিল। আর খালেদা জিয়া এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা করেছিল।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের কারণেই দেশে ওয়ান-ইলেভেনের সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারও খালেদা জিয়ার হাতেই তৈরি। প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদকে খালেদা জিয়াই নিয়ে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর বানিয়েছিল। ৯ সিনিয়র জেনারেলকে ডিঙিয়ে মঈন উ আহমদকে সেনাপ্রধানও করেছিলেন এই খালেদা জিয়া। এরা সবাই তার পছন্দের লোক ছিলেন। কিন্তু ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করল। যাকে আমি গ্রামীণ মোবাইল ফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলাম সেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস আর ডেইলি স্টারের সম্পাদককে নিয়ে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করা হলেও জনগণ তাতে সমর্থন দেয়নি। তিনি বলেন, আরেকজন যিনি মারা গেছেন (ফেরদৌস আহমেদ কোরাইশী), তাকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না, তাকে দিয়েও কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানেও জনগণ কোনো সাড়া দেয়নি। ওই সরকার কিন্তু প্রথমেই আমাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ আন্তর্জাতিক চাপে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা সরকার গঠন করি। ওই সময়ের একটি শ্রেণির ধারণা ছিল কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, একটা হ্যাং পার্লামেন্ট হবে। কিন্তু দেশের জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে। এরপর প্রতিটি নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়েই নির্বাচিত হয়ে আমরা তাদের সেবা করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসেই বেসরকারি টেলিভিশনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখন একেকজন একেক জায়গা থেকে নানা বচন দিচ্ছে, নানা কথা বলেছে, প্রশ্ন করছে। আবার কারও কারও কথা বাংলাদেশ কি এক দলে চলে যাচ্ছে কি না?
সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ এবং অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এলিট শ্রেণি তৈরি করে ঋণখেলাপি সংস্কৃতি কারা সৃষ্টি করেছিল? দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে তারা দেশকে কী দিতে পেরেছে? এরা কি দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কিছু করেছে? খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিংবা মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছে। আসলে ক্ষমতায় থেকে এরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, হত্যা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, যুবসমাজকে বিপথে চালিত, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ধ্বংস করতে পেরেছে। দেশ ও দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। নিজেরা অর্থশালী, বিত্তশালী হয়েছে, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি, চায়ওনি।
বিএনপিকে উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে, যারা সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করে, যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে-তাদের শুধু এটাই বলব যে, তারা কি ৩ নভেম্বরের ঘটনা একবার কোনোদিন ভেবে দেখেছেন? তারা কি এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা একবার চিন্তা করেছেন? জেলখানার মতো একটা সুরক্ষিত জায়গায় খুনিদের প্রবেশ করার অনুমতি কে দিয়েছিল? তাদের বিবেক তো সেখানে নাড়া দেয় না। তাদের বিবেক তো কথা বলে না। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যে নেতারা দিনরাত পরিশ্রম করে যুদ্ধ পরিচালনা করে দেশকে বিজয়ী করল, তাদেরকে কারাগারের মধ্যে নির্মমভাব হত্যা করা হল।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় প্রান্তে আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে সভাটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সভার শুরুতেই ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদতবরণকারীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।