নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সরকার এতো বেশি খেয়েছে, মনে করে আমার বোধ হয় আর খিদে লাগবে না। কিন্তু ইতোমধ্যে খিদে লেগেছে। না হলে গুজবের কাহিনী প্রকাশ করতেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের টেলিভিশনে কথা বলতে দেন না। বিদেশের টেলিভিশন যেগুলো প্রচার করছে সেগুলো বন্ধ করছেন। আপনারা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলেন না। এই যে বাস চলে, বাসে ঠাসাঠাসি করে লোক উঠে, রাস্তায় ঠাসাঠাসি করে লোক চলাচল করে, গরুর হাট চলে, বাজার চলে, গার্মেন্টস শিল্প চলে, সব চলে কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা চলে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনার পর প্রথম খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এখানে খোলে না কেন? ওরা ছাত্রছাত্রীদের খুব ভালোবাসে? ভালো যদি বাসত তাহলে ওদের লেখা পড়ার সুযোগ করে দিতো। ডিজিটাল দেশ করেছেন এখন ডিজিটাল সিস্টেম করতে পারেন না কেনো? কি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা কমিটি বলছে, ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া যাবে না। অনলাইনে পরীক্ষা পর্যন্ত নিতে পারবে না?
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, এটা নভেম্বর মাস। এই মাসে নুর হোসেন বুকে লিখেছিল স্বৈরশাসক নিপাত যাক আর পিঠের মধ্যে লিখেছিল গণতন্ত্র মুক্তি পাক। গুলি করে তখনকার সরকার তাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা গণতন্ত্র ফোরাম গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। ভোটের অধিকার বলেন আর মানবাধিকার বলেন এর সমাধান একটাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। আর আমাদের সেই গণতন্ত্রের অকুতোভয় সৈনিক বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে আসুন ১০ তারিখে আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি কর্মসূচি দেই।
মান্না বলেন, গত কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জে আমার উপর হামলার প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছিল সেখানে আমি বলেছিলাম এই দাবির সাথে গণতন্ত্র মুক্ত ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। আগামী ১০ তারিখ নূর হোসেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজপথে নামবো। আমরা কি মারামারি করব? না। কোনো প্রকার উশৃংখলতা করব? না করব না। কিন্তু আমি সারা দেশের মানুষের কাছে একটি আহ্বান জানাতে চাই, আসুন অঙ্গীকার করে রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব ভয় পাব না।
তিনি বলেন, অনেকে আমাকে বলে ভাই আপনি এতো বড় বড় কথা বলেন আপনার তো এতো বড় দল নাই। তাই যাদের বড় দল আছে তাদেরকে আমি বলব আসুন নূর হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাই। ওইখানে আমাকে বলবেন মিছিলের পেছনের থাকেন, মাঝখানে থাকেন, সামনে থাকেন, আপনি বক্তৃতা দিতে পারবেন না। তবুও আমি রাজি আছি। আর কেউ যদি সেটা না করে আমি কি জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো আপনারা আসেন, রাজপথে আসেন, তা না হলে আপনাদের মুক্তি হবে না। কারণ এই সরকারের পতনের জন্য গণ-অভ্যুত্থান একমাত্র মুক্তির পথ।