ফক্স নিউজের হিসেব অনুযায়ী জো বাইডেন এখনও আটকে আছেন ২৬৪ তে। আর ডনাল্ড ট্রাম্প ২১৪। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এবার নতুন এক ক্লাইম্যাক্স শুরু হয়েছে। চলছে ‘যদি’র খেলা। এর উত্তর কবে, কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা ঠাহর করা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে গতকাল নেভাদার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় নতুন আপডেট দেয়ার কথা ছিল। আপডেট দেয়াও হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়নি।
এই আপডেটের আগে পর্যন্ত সেখানে শতকরা ৭৫ ভাগ ভোট গণনা করা হয়েছিল। এরপরে আপডেটে জানানো হয়েছে শতকরা ৯৪ ভাগ ভোট গণনা করা হয়েছে। তাতে জো বাইডেন পেয়েছেন শতকরা ৪৯.৪ ভাগ ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮.৫ ভাগ। এ রাজ্যে যদি বাইডেন জয় পান তাহলেই তার হোয়াইট হাউজের টিকেট নিশ্চিত হয়। কারণ, এ রাজ্যে আছে ৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। তার প্রয়োজনও ৬টি। এই ৬টি ভোট পেলে তার সেই ম্যাজিক নাম্বার ২৭০ পূর্ণ হয়। তবে বিবিসি ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের হিসাব আলাদা। তাদের হিসাবে জো বাইডেন পেয়েছেন ২৫৩ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্প ২১৪। এ হিসাবে বাইডেনকে জিততে হলে প্রয়োজন ১৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্পের প্রয়োজন ৫৬টি। এক্ষেত্রে বাইডেনকে জিততে হলে অ্যারিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নেভাদা এবং জর্জিয়ার মধ্যে কমপক্ষে দুটি রাজ্যে জিততে হবে। অথবা তিনি যদি শুধু পেনসিলভ্যানিয়াতে জেতেন তাহলেই ২৭০ পূর্ণ হয়ে যায়। অন্যদিকে ট্রাম্পকে জিততে হলে অ্যারিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নেভাদা এবং জর্জিয়ার মধ্যে কমপক্ষে ৩টি রাজ্যে জিততে হবে অথবা পেনসিলভ্যানিয়ায় জিততে হবে। জটিল হিসাবে এখনও টক্কর দিচ্ছেন দু’প্রার্থী। এরই মধ্যে কোনো প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে জালিয়াতির আবারো অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করে নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। ব্যালটে ভয়াবহ দুর্নীতি, মেইলে পাওয়া ব্যালটে জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। তবে মেইলে পাওয়া ভোট এখনও গণনা করা হচ্ছে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা ও পেনসিলভ্যানিয়ায়। তার দাবি, তিনি অ্যারিজোনায় ভাল করছেন। তবুও শেষ পর্যন্ত রায়টা বিচারকরা দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।