সময় টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনে জামায়াতের প্রতিবাদ

শুক্রবার সময় টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালে ‘জুয়েলকে পুড়িয়ে হত্যায় সরাসরি জামায়াত জড়িত, দাবি পুলিশের’ শিরোনামে প্রকাশিত মিথ্যা রিপোর্টের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ শনিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, শুক্রবার সময় টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালে ‘জুয়েলকে পুড়িয়ে হত্যায় সরাসরি জামায়াত জড়িত, দাবি পুলিশের’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রিপোর্টের এক জায়গায় ‘এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন গণি কবির নামে এক জামায়াত ক্যাডার’ আবার অপর এক জায়গায় বলা হয়েছে ‘গণি কবির সম্পর্কে চকরিয়ায় খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সেখানে তার রাজনৈতিক ও অপরাধমূলক কোনো কর্মকাণ্ড আছে কিনা, তা তদন্ত করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’ মর্মে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, গণি কবিরের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাহলে কিভাবে তাকে ‘জামায়াত ক্যাডার’ হিসেবে পরিচয় দেয়া হচ্ছে? রিপোর্টের স্ববিরোধী বক্তব্যে থেকেই প্রমাণিত হয় দেশের মানুষের নিকট জামায়াতের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যই পরিকল্পিতভাবে সিন্ডিকেটেড নিউজ করা হচ্ছে। আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, গণি কবিরের সাথে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এই নামটি সংশ্লিষ্ট এলাকায় কারো নিকট পরিচিতও নয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে কুরআন অবমাননার অভিযোগে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। মূলত প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে জামায়াতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বার বার এ ধরনের মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। ইতোপূর্বেও গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জামায়াত ও ছাত্রশিবির জড়িত বলে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। কিন্তু তার ওই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একইভাবে জুয়েল হত্যার ঘটনার সাথে জামায়াত জড়িত বলে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার হীন উদ্দেশ্যেই এসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করবো প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার স্বার্থে তদন্তের পূর্বেই কাউকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়া উচিত নয়। এতে করে প্রকৃত খুনিরা আড়াল হয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও আজগুবি রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সময় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।