সাতক্ষীরা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ

ক্রাইমবাতা রিপোট:সাতক্ষীরা:  সাতক্ষীরা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করে অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীরা জানান, বর্তমান সাতক্ষীরা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য করে আসছেন। গত ২০১৯ সালের কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করার পরও তার বেতনের টাকা না পরিশোধ করে তালবাহানা করে যাচ্ছেন। এমনকি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উপজেলা প্রথম হওয়ার পরও তাকে নিয়োগ না দিয়ে নিজের শালিকাকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের আক্কাজ আলীর পুত্র আবুল কাশেম বলেন, গত ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে জেলা অফিসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। সে অনুযায়ী ৮ ফেব্রুয়ারি শ্যামনগর উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য বই এবং পরিদর্শন সীট প্রদান করা হয়। অথচ ৩১ মার্চ উপজেলা সুপার ভাইজার বলেন, আপনাকে ডিডি স্যার কেন্দ্র দিবেন না। সেখানে তার শালিকা জান্নাতুন নেছাকে নিয়োগ দিচ্ছেন। এবিষয়ে ডিডি’র সাথে যোগাযোগ করলে তাকে অন্যত্র কেন্দ্র দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে কালিগঞ্জে কেন্দ্র দেন ডিডি রফিকুল। কিন্তু মাত্র ৪ হাজার টাকা বেতনের জন্য পদ্ম পুকুর থেকে কিভাবে কালিগঞ্জে আসবেন এমন প্রশ্নে তাকে পদ্মপুকুরেই দায়িত্ব পালনের কথা বলেন। সে অনুযায়ী কাশেম দায়িত্ব পালন করলেও তাকে বেতনের টাকা না দিয়ে আত্মসাত করেন। এছাড়া ডিডি রফিকুলের সুদৃষ্টি থাকায় না পড়িয়ে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন অনেকেই। তাদের মধ্যে শ্যালে গ্রামের গোলাম কাদেরের পুত্র মুজিবুর রহমান, এজাহার আলীর পুত্র আবুল হোসেন, আব্দুল হামিদের পুত্র মহিববুল্লাহ।
নলকুড়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের পুত্র ফিরোজ আহমেদ বলেন, ২০২০ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্র পরিচালনা করেন। বেতন দেওয়ার জন্য রেভিনিউ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও করিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বেতনে দেয়নি। ডিডি সাহেব দাবি করেছেন নলকুড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতিকে আর্ধেক টাকা দিতে হবে না দিলে বেতন দেওয়া হবে না।
রাজনগরে ফজলুর রহমানের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে কেন্দ্র থাকলেও বেতন উত্তোলন করেন ডিডি’র নিকট আতœীয় আওসাফুর রহমান।
পশ্চিম মাছখোলা এলাকার মৃত গোলাপ সরদারের পুত্র মাহবুব, হাড়দ্দহা এলাকার মৃত. সদর উদ্দীন গাজীর পুত্র খায়রুলসহ অনেকেই এধরনের বিভিন্ন অভিযোগ করেন। অথচ ডিডি রফিকুল ইসলাম জনৈক সচিবের পরিচয় ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
এসব বিষয়ে সাতক্ষীরা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

Check Also

সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।