নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবিবাহিত এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে অবৈধ গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবতীর মা বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার দিকে মামলার ১নং আসামি জসিম উদ্দীনের স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শারমিন ওই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবতী (১৯)কে ফুসলিয়ে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সিদ্দিক খানের পুত্র জসিম উদ্দীন (২৭) ও মোস্তাজুল ইসলামের পুত্র ইমন (১৯) বিভিন্ন সময় একাধিকবার অবৈধভাবে দৈহিক মেলামেশা করে। এতে যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে এজাহারভূক্ত আসামিরা কৌশলে ওই যুবতীকে কলারোয়ার সততা ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবন্ধী যুবতীর মা সোমবার (৯ নভেম্বর) কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।’ মামলার আসামিরা সম্পর্কে নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী যুবতীর আত্মীয়। সোমবার সকালে ওই যুবতী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলারোয়া হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্যাতিতার মা জানান, ‘আসামি জসিম উদ্দীন তাদের পুরাতন ঘর ভেঙে নতুন ঘর তৈরির সময়ে তারা আমাদের ঘরে দীর্ঘ ৯মাস অবস্থান করে। অপর আসামি ইমনের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকায় সেও আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। পরবর্তীতে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনাটি জানায়। গর্ভবতীর বিষয়টি জসিম ও ইমনকে জানালে তারা দু’জন সত্যতা স্বীকার করলেও ঘটনাটি কাউকে না জানানো জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তারা আমার অগোচরে মেয়েকে কলারোয়ায় নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।’