অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি রাজধানীতে একযোগে নয়টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাকে রাজনীতির বাইরে থেকেও মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক রেষারেষিতে নিজের অবস্থান জানান দিলে মূল ঘটনা চাপা পড়ে যায়। আর রেষারেষি না থামালে নাশকতা আরও বাড়বে।
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিন (১২ নভেম্বর) আকস্মিকভাবে পৃথক স্থানে নয়টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাওয়া হয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কলহ নেই দৃশ্যত। কিন্তু হঠাৎ করেই বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয়া হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে নয়টি বাসে আগুন দেয়া হলো। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা গেল না। তার মানে আগুন দেয়ার ঘটনা একেবারেই পরিকল্পিত।
‘কিন্তু অবাক হয়েছি, যখন প্রমাণ না হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতারা একে অপরকে দোষ দিচ্ছেন এই ঘটনার জন্য। এতে আসল ঘটনা চাপা পড়ে যায়। আগেও তাই দেখেছি। মূলে না গেলে নাশকতা আরও বাড়ে।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ কেউ এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকেও টেনে আনছেন। এসব আলোচনার জন্যই বলা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনার সময় আসেনি। তিনি নিজের দেশের অস্থিরতা সামাল দিতেই বেসামাল হয়ে পড়ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা হাস্যকর।
বিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য না দিলে বিপদ বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ভারতের কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন সামনে। এমন সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও প্রভাব পড়ে। ভারত-চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এক প্রকার যুদ্ধ লেগেই আছে। পাশের দেশ মিয়ানমারে নির্বাচন হলো। সেখানে সেনাসমর্থিত শক্তি হেরেছে। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে। বৈশ্বিক এমন বিষয়গুলো আমলে না নিলে নির্বুদ্ধিতা হবে। দায়িত্বশীল বক্তব্য সময়ের দাবি। তা না করে মনগড়া কথা বলছে সবাই। নিজেদের দ্বন্দ্ব সব ঘটনাতেই টেনে আনলে এক সময় আর কূল মিলবে না। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি সম্ভবত।- জাগো নিউজ