ঘূর্ণিঝড় আম্পান-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনর্নির্মাণে ৬ হাজার কোটি টাকা

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের রাস্তা-ঘাট পুনর্নির্মাণে ৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সভায় মোট ৭ হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা খরচে ৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৭ হাজার ৪২৬ কোটি ৬১ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪টিই স্থানীয় সরকার বিভাগ/স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এবং একটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প নতুন এবং দুটি সংশোধিত।

সচিব জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বাকি ৪টি প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ/স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের। সেগুলোর মধ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

‘খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্যব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পে খরচ হবে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৩১৪ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সিটি করপোরেশন দেবে ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ/স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত দুটি প্রকল্পের মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৯৫০ কোটি থেকে সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুনে। সময় বাড়ানোর কারণে শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে।

‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির খরচ ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার থেকে সংশোধন করে বাড়ানো হয়েছে ২২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মার্চে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধনীতে এর মেয়াদ বাড়ানোর কারণে শেষ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে।

Check Also

বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।