কট্টোরপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে সৌদি আরব। দেশটির এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক রাষ্ট্র ইসরাইল। রোববার ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ইসলামকে ব্যবহার করে ব্রাদারহুড যে উস্কানি ও রাষ্ট্রদোহ করে আসছে, তার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের এমন সিদ্ধান্তে ইসরাইল খুশি। টুইটে সহনশীলতা ও পারস্পারিক সহযোগিতার ওপর বিশেষ জোরও দেয়া হয়েছে। সৌদি আরবের কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্স (সিএসএস) মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্তির পরপরই রোববার ওই টুইট করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের স্কলারদের কাউন্সিল থেকে ব্রাদারহুডকে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এর ভিত্তিতেই ব্রাদারহুডের সকল কার্যক্রমকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।
দেশটি আগে থেকেই ব্রাদারহুড ও এই ধারার অন্য কট্টোরপন্থী দলগুলোর বিষয়ে দমনমূলক আচরণ অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখে ইসরাইলও। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ব্রাদারহুডের আদর্শিক মিল থাকায় একে নিজের জন্যেও হুমকি মনে করে ইসরাইল।
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
আবুল কাসেম
২০২০-১১-১৭ ০৭:৫১:১০
রতনে রতন চেনে, শয়তানে শয়তান চেনে। ইসরাইল একটি অবৈধ পন্থায় প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে নিয়ে তাদের রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করা হয়েছে। আর সৌদি আরবের শাসক গোষ্ঠী বর্তমানে ইসলামের ধারে কাছেও নেই। শাসক গোষ্ঠী রাজ পরিবারের সদস্যরা এবং রাষ্ট্রের মধ্যে তাদের ঘনিষ্ঠজনেরা তাদের মাতৃভাষা আরবির চেয়ে ইংরেজিতে বেশি পারদর্শী। এমন কুলাঙ্গার শাসক গোষ্ঠী সৌদি আরবের ইতিহাসে সম্ভবত আর দেখা যায়নি। মাতৃভাষার জন্য আমরা গৌরবদীপ্ত হয়ে মৃত্যুকে বরন করেছি। আর তারা তাদের মাতৃভাষার পরিবর্তে ইংরেজি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ফলে মহাগ্রন্থ আল কুরআন তাদের মাতৃভাষায় অবতীর্ণ হলেও এখন আর তারা কুরআন বোঝেনা। ফলে তারা ইসলামও বোঝেনা ; বোঝে ইহুদিতন্ত্র। তাই ইহুদিদের সাথে তাদের সখ্যতা সর্বজনবিদিত। ফলতঃ তারা ভুলে গেছে তাদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। সন্ত্রাসী কায়দায় মুসলিম দেশ ইয়েমেনের উপর আক্রমণ করে এক নারকীয় ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রভাবে তারা ইসলামী চরিত্র বেমালুম ভুলে গেছে অথবা বিসর্জন দিয়েছে। তাই তাদের নারী গৃহকর্মীরা অবৈধ পন্থায় গর্ভবতী হয়ে দেশে ফিরে আসে। তাদের শ্রমিকরা কাজ করেও ন্যায্য মাহিনা পায়না। অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড একটি আদর্শবাদী সংগঠন। যারা আল্লাহ তায়ালার ঐশীবানী আল কুরআন এবং রাসুল মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান আদর্শের ধারক বাহক। সৌদি আরবের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স (এমবিএস) মুহাম্মদ বিন সালমানের বহু অপকর্মের ঘটনা লোকমুখে প্রচলিত আছে। উদারচিন্তার সাংবাদিক জামাল খাগোসীকে সে হত্যা করিয়েছে। সত্যপন্থী হওয়ার জন্য সৌদি আরবের বহু বরেণ্য ব্যক্তিকে জেল জরিমানা করেছে। ইসলামী সংস্কৃতির বিলুপ্ত সাধনের মানসে বহু অনৈসলামিক সংস্কৃতি চালু করেছে এবং ধীরে ধীরে সৌদীরা যেনো নামে মুসলিম হলেও কর্মে যেনো অমুসলিম হয়ে যায় তার জন্য সুদুরপ্রসারি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সে পাশ্চাত্যের পা চাটা গোলাম। সেজন্যে তার প্রভুদের খুশী করার জন্যেই কুরআন-সুন্নার আদর্শ ধারণ করা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। তারা প্রকারান্তরে ইহুদিদের মনের কথাই বলেছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে বলেছেন কোনো ঈমানদার লোক ইহুদিদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না। "হে ঈমানদার লোকেরা তোমারা ঈমানদার ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কাফেরদের নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমারা কি আল্লাহ তায়ালার কাছে তোমাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও? এ মোনাফেকরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে অবস্থান করবে। তুমি সেদিন তাদের জন্য কোনো সাহায্য কারী খুঁজে পাবে না।" সূরা আন নিসা। আয়াত-১৪৪-১৪৫। কুরআনুল কারিমে এমন আরো আয়াত রয়েছে। এসকল আয়াতে কারিমার আলোকে প্রমাণিত হয় সৌদি আরবের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। সুতরাং তাদের কথা কাফেরদের কথারই প্রতিধ্বনি মাত্র। আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়েত দিন।