ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল):টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় রাস্তার কাজ শেষ না হতেই পাশের নির্মিত প্যালাসাইটিং ভেঙে পড়েছে। নিম্নমানের কাজ করায় মাসখানেকের মধ্যে এটি ভেঙে পড়ে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
রোববার সরেজমিন উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়ার ৭৫০ মিটার রাস্তার প্যালাসাইটিংয়ের এমন বেহাল দশা দেখা যায়।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাতকরণের জন্য রাস্তাটি নির্মাণকাজ শুরু করে এলজিইডি। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইআরআইডিপি-২) অধীন ঝনঝনিয়া ৭৫০ মিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়।
মূলসড়কের পাশ দিয়ে খাল থাকায় প্যালাসাইটিং যুক্ত করে এর নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৮৭ লাখ ১৩ হাজার ১৯২ টাকা। এটির নির্মাণকাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লৌহজং এন্টারপ্রাইজ। এর পর রাস্তাটি লৌহজং এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে সাব ঠিকাদার হিসেবে এর কাজ কিনে নেন ফরহাদ হোসেন।
অন্যদিকে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এর নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঝনঝনিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন মাস্টার বলেন, রাস্তার কাজ শুরু করেছে মাত্র। এর আগে রাস্তার একপাশে নির্মিত প্যালাসাইটিং নির্মাণ করা হয়েছে, যা খুবই নিম্নমানের। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ভেঙে খালে পড়ে যাচ্ছে।একই গ্রামের সোহাগ, মজিবর, মোবারক হোসেন বলেন, প্যালাসাইটিং নির্মাণেই অনিয়ম করা হয়েছে। নিম্নমানের প্যালাসাইটিং তৈরি করে তাতে বালু ফেলে ভরাট করেছে। পরে বৃষ্টি ও বন্যার পানি এসে বালু ধসে সেটি ভেঙে পড়েছে।
ঠিকাদার ফরহাদ হোসেন জানান, কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লৌহজং এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কিনে করা হচ্ছে। প্রথমত ওই এলাকার লোকজন রাস্তা করতে মাটি ও জায়গা ছাড়েনি। অনেকেই টাকা দাবি করেছে। কাজের সময়সীমা আবেদন করে বাড়ানো হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তার প্যালাসাইটিং ভেঙে গেছে। সেটির কাজ পুনরায় করে দেয়া হবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান খান বলেন, ঝনঝনিয়া এলাকায় রাস্তার প্যালাসাইটিং কাজ করার পরেই ভেঙে গেছে। সেটি পুনরায় সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদার। বন্যার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। তবে কাজ চলমান রয়েছে। বন্যার সময়ই রাস্তার প্যালাসাইটিং ভেঙে গেছে।