{}[]()দারসুল কুরআন()[]{}
সুরা আলে ইমরান [১৫৯ নং আয়াত]
========================
(১)فبما رحمة من الله لنت لهم ولو کنت فظا غلیظ القلب لانفضوا من حولک فاعف عنهم واستغفر لهم وشاورهم فی الامر فاذا عزمت فتوکل علی الله ان الله یحب المتوکلین
@@@ (২) অনুবাদ :- অতএব আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে তুমি তাদের জন্য নম্র ব্যবহার করেছো।আর যদি তুমি কর্কষভাষী, কঠোর হৃদয় হতে, তাহলে তারা তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো।
অতএব তুমি তাদের মাফ করে দাও,
তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং
তাদের সাথে বিশেষ ব্যপারে পরামর্শ কর।
তারপর যখন সিদ্ধান্ত করবে,তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর।নিশ্চয় আল্লাহ ভরসাকারীদের ভালবাসেন।
@@@(৩) নামকরন :- ৩৩ নম্বর আয়াতে আছে
ان الله اصطفی ادم ونوحا وال ابراهیم وال عمران علی العلمین
(অর্থ নিশ্চয় আল্লাহ আদম,নূহ,ইবরাহীম বংশধর এবং ইমরান বংশধরকে বিশ্বের উপর মনোনীত করেছেন।) এই আয়াত থেকে সুরার নামকরন করা হয়েছে আলে ইমরান(অর্থ ইমরান বংশধর)।
অবতীর্ন হওয়ার সময়কাল :- মাদানী জীবনের চারটি ভাষনে সুরাটি অবতীর্ন হয়।
(১) প্রথম ভাষন ১ম থেকে ৩২ নং আয়াত পর্যন্ত। এ ভাষন বদর যুদ্ধের পরপরই অবতীর্ন।
(২) দ্বিতীয় ভাষন ৩৩ নং আয়াত থেকে ৬২ নং আয়াত পর্যন্ত নবম হিজরী সনে নাজরান প্রতিনিধিদল আসার সময় অবতীর্ন হয়।
(৩) তৃতীয় ভাষন ৬৩ নং আয়াত থেকে ১২০ নং আয়াত পর্যন্ত।এ ভাষন অবতীর্ন হয় প্রথম ভাষনের কাছাকাছি সময়ে।
(৪)চতুর্থ ভাষন ১২১ নং আয়াত থেকে সুরার শেষ পর্যন্ত।এ ভাষন অবতীর্ন ওহুদ যুদ্ধের পর।
দারসের আয়াতটি চতুর্থ ভাষনের অন্তর্ভুক্ত।যা অবতীর্ন হয়েছিল ওহুদ যুদ্ধের পর।
(৪)ঐতিহাসিক পটভূমি :- বদর যুদ্ধে কুরাইশ মুশরিকরা পরাজিত হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তৃতীয় হিজরীর শাউওয়াল মাসে তিনহাজার সৈন্যবাহিনী নিরায়ে মদীনা আক্রমনের জন্য কুরাইশ মুশরিকরা বের হয়।এ সংবাদ পেয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগনকে নিয়ে করনীয় নির্ধারন করতে পরামর্শে বসেন।যুবক সাহাবীগন মাদীনার বাহিরে যেয়ে যুদ্ধ করার পরামর্শ দেন।প্রবীন সাহাবীগনের পরামর্শ ছিল মাদীনার ভিতরে থেকে যুদ্ধ প্রতিরোধ করা।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ব্যক্তিগত মতও অনুরুপ ছিল।আবদুল্লাহ বিন ওবাইয়ের মত ছিল মাদীনায় অবস্থান করা।কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যুবকদের মত প্রাধান্য দিয়ে ১০০০ সৈন্য নিয়ে ওহুদের ময়দানের দিকে রওয়ানা দেন।মাঝপথে এসে আবদুল্লাহ বিন ওবাইয়ের নেতৃত্বে ৩০০ জন মুনাফিক ফেরৎ চলে আসেন। বলেন,আমাদের মতামত যখন গ্রহন করা হলো না,তখন আমরা এ যুদ্ধে অংশগ্রহন করবো না।৭০০ শত সাহাবীকে নিয়ে ওহুদের ময়দানে যান।
৫০ জন দক্ষ তীর নিক্ষেপকারীকে আইনাইন পাহাড়ের সুড়ঙ্গ পথে নিয়োগ করে বলেন,তোমরা যদি দেখতে পাও আমরা বিজয়ী হয়ে কাফির মুশরিকদের ধাওয়া করে নিয়ে যাচ্ছি।কাফিররা পালাতে শুরু করেছে,তোমরা এ স্থান ত্যাগ করবেনা। আর যদি দেখতে আমরা পরাজিত হয়েছি এবং নিহত হয়েছি ।আমাদের লাশ পাখিরা খাচ্ছে,তবুও তোমরা স্থান ত্যাগ করবে না।
যুদ্ধরা শুরু হলে প্রথমে মুসলিমরা বিজয়ী হয়।কাফিররা পালাতে শুরু করে।তারা সম্পদ ফেলে দৌড়াতে শুরু করে।মুসলিমগন তাদের পিছনে ধাওয়া করে।
তখন ৫০ জন তীরন্দাজ বাহিনীর অধিকাংশ প্রায় ৩৮ জনের মত বলতে শুরু করে আমাদের এখানে থাকার প্রয়োজন নেই।আমরা তো বিজয়ী হয়েছি।বারবার নেতা বুঝানো সত্বেও তারা রাসুলুল্লাহ( সাঃ) নির্দেশনার দিকে গুরুত্বের প্রতি বেখেয়াল হয়ে ময়দানে গনীমাতের মাল কুড়াতে শুরু করেন।৭০০ শত সাহাবীকে নিয়ে ওহুদের ময়দানে যান।
৫০ জন দক্ষ তীর নিক্ষেপকারীকে আইনাইন পাহাড়ের সুড়ঙ্গ পথে নিয়োগ করে বলেন,তোমরা যদি দেখতে পাও আমরা বিজয়ী হয়ে কাফির মুশরিকদের ধাওয়া করে নিয়ে যাচ্ছি।কাফিররা পালাতে শুরু করেছে,তোমরা এ স্থান ত্যাগ করবেনা। আর যদি দেখতে আমরা পরাজিত হয়েছি এবং নিহত হয়েছি ।আমাদের লাশ পাখিরা খাচ্ছে,তবুও তোমরা স্থান ত্যাগ করবে না।
যুদ্ধরা শুরু হলে প্রথমে মুসলিমরা বিজয়ী হয়।কাফিররা পালাতে শুরু করে।তারা সম্পদ ফেলে দৌড়াতে শুরু করে।মুসলিমগন তাদের পিছনে ধাওয়া করে।
তখন ৫০ জন তীরন্দাজ বাহিনীর অধিকাংশ প্রায় ৩৮ জনের মত বলতে শুরু করেন, আমাদের এখানে থাকার প্রয়োজন নেই।আমরা তো বিজয়ী হয়েছি।বারবার নেতা বুঝানো সত্বেও তারা রাসুলুল্লাহ( সাঃ) নির্দেশনার দিকে গুরুত্বের প্রতি বেখেয়াল হয়ে
ময়দানে গনীমাতের মাল কুড়াতে শুরু করেন।
(চলবে)
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …