কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা ৬০ বছর বয়সে বুধবার মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় তিনদিনের রাষ্ট্রিয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। দু’বার ট্রান্সফার মার্কেটের রেকর্ড ভেঙেছেন। এমনকি মৃত্যুর সময়ও মেক্সিকান ক্লাবের কোচ ছিলেন তিনি।
অথচ সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার রেখে গেছেন মাত্র ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা মাত্র ৮৫ লাখ টাকার মতো। সংবাদ মাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস এমনই তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যারাডোনা শোধ করে যেতে পারেননি করের দায়ও। তার বিরুদ্ধে ৪৪ মিলিয়ন ডলার বা ৩৭১ কোটি টাকার মতো কর ফাঁকির মামলা ছিল।
মৃত্যুর আগে যার অধিকাংশই শোধ করে যেতে পারেননি বিশ্ব এবং আর্জেন্টিনার ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা। ক্যারিয়ারে তিনি অর্থ উপার্জন করেছেন অনেকে। কিন্তু সেই অর্থ মামলা, কর ফাঁকি, মাদক এবং অসুস্থতার পেছনেই ঢেলে দিতে হয়েছে তাকে।
ম্যারাডোনা ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন ইতলির ক্লাব নাপোলিতে। সেখানে তিনি বছরে ৩০ লাখ ডলার বেতন পেতেন। এছাড়া বিজ্ঞাপন, পণ্যের দূত, ইমেজ শর্ত থেকে তার আয় ছিল প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার বা ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই নাপোলিকেই ৯০’র দশকে ৭০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে ম্যারাডোনার।
ইতালিতে খেলাকালীন ম্যারাডোনা ৩৯ মিলিয়ন ইউরো কর দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। আদালত ম্যারাডোনার স্থাবর যা কিছু আছে পুলিশকে তা দখলে নিতে বলে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ব্যর্থতার পরে আর বড় কোন ক্লাব বা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি ম্যারাডোনার। সাতটি ক্লাবের কোচ ছিলেন। কিন্তু সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি নয়। ম্যারাডোনা তাই কোচিং করিয়ে কত অর্থ আয় করেছেন তার সঠিক হিসেবে পাওয়া কঠিন। তবে শেষদিকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না ম্যারাডোনা, বেতনটা তাই খুব বেশি ছিল না বলাই যায়।