গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউও দেশের গার্মেন্টস শিল্পের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি সরকারের নজর রয়েছে। কারণ এ শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত। অসংখ্য ফিডব্যাক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম পর্যায় গার্মেন্টস শিল্প চালু রাখতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। এখন আমরা নতুন করে অর্ডার পাচ্ছি। আমাদের গার্মেন্টস আবারও ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যাতে আমাদের গার্মেন্ট শিল্পের কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনে আরও প্রণোদনা দেয়া হবে।
এসব কথা বলেন।
পরে তিনি ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকারি পাটকলগুলো লোকসানি শিল্পে পরিণত হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রাইভেট পাটকলগুলো লাভ করছে। সে কারণে সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে নভেম্বর মাসের মধ্যে সরকারি পাটকল শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, একাত্তর সালে আমি যুবক ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ওই সময় ঢাকায় যেসব ক্র্যাকডাউন হয়েছে তার নেতৃত্ব দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি।
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়ার পর বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে বীর প্রতীক উপাধী গ্রহণ করেছি। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্বপ্ন দেখতেন। পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে স্ব-পরিবারে হত্যার পর সে স্বপ্ন ভেঙে যায়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। তারপর স্বাধীনতা পদক দিয়ে আমাকে সম্মানিত করেছেন। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমি আমৃত্যু কাজ করে যাব।
পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সদরের ঘোনাপাড়ায় নির্মাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন।