সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় ঘুমিয়ে থাকা এক মায়ের কোল থেকে সোহান নামে ১৫ দিনের এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে নানির বাড়িতে আশ্রিত ফাতেমা খাতুন তার সন্তানকে হারিয়ে পাগলপপ্রায়। আশপাশের এলাকার মানুষ ঘটনাটি জানতে ওই বাড়িতে ভিড় করছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের ধারণা ফুটফুটে শিশুটিকে জিনে নিয়ে গেছে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, দু’বছর আগে সদর উপজেলায় নানির বাড়িতে আশ্রিত ফাতেমার কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়িতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি পুত্র সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত বুধবার তারা সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। কে বা কারা তাকে চুরি করে নিয়ে গেছে কেউ বলতে পারে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে তারা এক কবিরাজের দারস্থ হন। কবিরাজ তাদের জানান, শিশুটিকে নাকি জিনে নিয়ে গেছে। সেখানে সে নাকি ভাল রয়েছে এবং ক’দিন পরেই তাকে নাকি ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। গ্রামের সহজসরল মানুষগুলো তারই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
শিশুটির মা ফাতেমা খাতুন ও বাবা সোহাগ হোসেন জানান, দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাচ্চা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও এখনও পাওয়া যায়নি। শুক্রুবার দুপুরে শিশুটির পিতা সোহাগ হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সদর থানার পুলিশ ও পিবিআই পুলিশ পৃথকভাবে চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার হাওয়ালখালি গ্রামের সোহাগ হোসেন ও ফতেমা দম্পত্তি। তাদের ১৫দিনের নবজাতক মায়ের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে চুরি হয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে শুক্রুবার সকালে ও বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক দফায় এলাকায় গিয়েছি। তবে শিশুটির এখনও কোন সন্ধান করা যাইনি।
আবু সাইদ বিশ্বাস:সাতক্ষীরা: ২৭/১১/২০২০