লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সাথী আক্তার (২০) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপুর গ্রামে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওই নববধূর ঝুলন্ত রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ওই নববধূর স্বামী কামরুল (২৩) পলাতক রয়েছেন।
নিহত সাথী উপজেলার সোনাপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুলের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, গত দুই মাস আগে পারিবারিকভাবে সাথীকে বিয়ে করেন সোনাপুর গ্রামের সেলিমের ছেলে রাজমিস্ত্রি কামরুল।
বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে সাথীকে টাকার জন্য বেদম মারধর করত কামরুল। এতে অসহ্য হয়ে সাথীর বাবা কামরুলের বিরুদ্ধে তার অভিভাবকের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পায়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাথীকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার করে তার অভিভাবকদের খবর পাঠায় কামরুল।
নিহত সাথীর জামা ছেঁড়া অবস্থায় দেখেছেন বলে তার অভিভাবকদের অভিযোগ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি কামরুল মোবাইলে বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে। এতেই সাথী ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি বলেও দাবি করে কামরুল।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, নববিবাহিত গৃহবধূ সাথী আক্তারের মরদেহ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইউডি মামলা হয়েছে। রিপোর্ট এলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।