সাতক্ষীরা  চেম্বার সভাপতি মিঠুর সাথে হোটেল মালিক সভাপতি নুরুল ইসলামের মারামারি

ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা:   শহরের নিউমার্কেট এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমির বিদ্যুৎ পুন:সংযোগ প্রদানকে কেন্দ্র করে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও সুন্দরবন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক গ্রুপের মধ্যে মারামারির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চেম্বার সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু এবং হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি ও নিউমার্কেট এলাকার সুন্দরবন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছে।

জেলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি ও নিউমার্কেট এলাকার সুন্দরবন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. নুরুল ইসলাম জানান, নিউমার্কেট এলাকার ৪ শতক সরকারি জমিতে তিনিসহ আরও কয়েকজন গত ৪০ বছরের অধিক সময় ব্যবসা করে আসছেন। সর্বশেষ মাঠজরিপে উক্ত সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড হয়েছে। এনিয়ে চেম্বার সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠুর সাথে দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান আছে। তিনি আরও জানান, করোনাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে অবৈধ যোগাযোগের মাধ্যমে তারসহ কয়েকটি দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এব্যাপারে তারা আবেদন করলে পদ্ধতিগতভাবে তা মঞ্জুর হয় এবং ৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার সময় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আসেন। এসময় চেম্বার সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠুসহ তার লোকজন বাদী মো. নুরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে এবং কোমর থেকে পিস্তল বের করে পিস্তলের বাট দিয়ে তার হাতে চোখে আঙুলে আঘাত করে। এ সময় তার পকেট থেকে নাসিম ফারুক খান মিঠু ৩৫ হাজার ১০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া অন্যান্য আসামীরা তাকেসহ সাক্ষীদের কিলঘুষি মারে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গলার টুটি চেপে ধরে। আসামীরা তাকেসহ সাক্ষীদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু  জানান, উক্ত সম্পতি তার ক্রয়কৃত। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ মো. নুরুল ইসলামসহ অন্যান্যদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন বিদ্যুৎ কর্মী অবৈধভাবে সংযোগ দিতে এলে তিনি বাঁধা দেন। এসময় মো. নুরুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামীরা তার উপর হামলা চালায়। এব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান পরও এসআই অহেদুজ্জামানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানালে আইনহগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।