বেশ কিছুদিন ধরেই দেশজুড়ে গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানির খবর উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনো ব্লেড দিয়ে জামা চিড়ে ফেলা, কখনো পেছন থেকে শরীরে হাত দেয়া, কখনো খালি বাসে চালক ও সহকারীর নিপীড়নের প্রচেষ্টাসহ নানা রকম অভিযোগ। সম্প্রতি একই ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন বরিশালের এক তরুণী। তবে অন্যদের মতো তিনি মুখ বুজে সহ্য করেননি। কৌশলে সমস্ত ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ওই ব্যক্তিকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেছেন।
সাদিয়া আক্তার মীম নামে ওই তরুণীর ফেসবুক আইডি থেকে পুরো ঘটনার বিবরণসহ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে তিনি লেখেন, গত রবিবার বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে সিএনজিযোগে সদর রোডের বিবিরপুকুর পাড় যাচ্ছিলেন তিনি। সিএনজির মধ্যেই মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি তার পাশে এসে বসে। তরুণী তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে যতই সরে বসেন, ওই ব্যক্তি ততটা তরুণীর কাছে ঘেঁষে বসার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন তিনি। নিরূপায় হয়ে হাতে নাতে ধরার জন্য বিষয়টি মুঠোফোনে ভিডিও করেন ওই তরুনী। সিএনজি’টি সদর রোডে আসার সাথে সাথেই হাতে নাতে ধরা হয় মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। এরপর ওই তরুণী নিজেই মারধর করেন তাকে। শেষে পথচারীরা ওই তরুণীর পক্ষ নিয়ে তার পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন ওই ব্যক্তিকে।
এই পোস্টের পরই ওই তরুণীকে ফেসবুকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে আবার সমালোচনা করেছেন।
বিএম কলেজ ছাত্রী ও অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায়ী ওই তরুণী জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নারী হয়ে তিনি কেন এতো আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছেন সেজন্য তার পরিবার স্থানীয়ভাবে চাপে রয়েছে।