বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রকে যখন দাবিয়ে রাখা হয়, তখন উগ্রবাদের উত্থান ঘটে। সেটাই আওয়ামী লীগ করছে। আওয়ামী লীগের কারণে এ সমস্ত অপশক্তি আজ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বুধবার বিকাল ৪টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর আতাউর রহমান, যুবদল নেতা তুহিন প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এ বিষয়ে সরকারকে সচেতন করছি। আওয়ামী লীগকে সতর্ক করছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে সতর্ক করছি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীন স্বাধীনতা শুধুমাত্র উগ্রবাদীদের, যারা মৌলবাদীকে প্রচার করে, যারা দেশে জঙ্গিবাদ করতে সহযোগিতা করে।
কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জননেত্রী পরিষদের এক নেতার দায়িত্ব হল আমাদের নামে মামলা দেয়া।
ফখরুল বলেন, তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ১৫টি মামলা দেয়া হয়েছে। তারা জনগণের সম্মুখীন হতে পারে না। গণতন্ত্রকে তারা ভয় পায়। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পায়; তারা বিরোধীদলীয় নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ সেই গ্রাম্য মোড়লের মতো আবির্ভাব হয়েছে। তাদের কাজই হচ্ছে জনগণকে অস্থির করে রাখা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে। ৯ বছর শাসন করে এরশাদ। আর ১২ বছর আইয়ুব খান শাসন করেছে। এ ধরনের স্বৈরশাসক যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের সম্পৃক্ততায় ফ্যাসিস্টবাদের শাসনের অবসান ঘটে। সেই সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেশি দিন আর নয়, যে কোনো সময়ে আওয়ামী লীগের দু:শাসন থেকে মুক্ত হবে দেশ।