রুহুল কুদ্দুস: শ্রীউলা (আশাশুনি): শ্রীউলার বালিয়াখালি গনির বাড়ি হতে বালিয়াখালি স্লুইস গেট পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তার কাজটি সংস্কার হলে বালিয়াখালি রাধারআটি গ্রামবাসির ব্যবসা বাণিজ্যসহ সর্বসাধারণের মনে স্বস্তি ফিরে আসবে।
দীঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ৮ কি.মি. রাস্তার বেশিরভাগ অংশই যেন এখন মরণ ফাঁদ। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত লোক আশাশুনি, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটিতে যাত্রীবাহী নছিমন, করিমন, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলসহ প্রভৃতি যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়ক সংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে বালিয়াখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, বালিয়াখালি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও হাট। সড়কটি ব্যবহার করেই ব্যবসায়ীরা দক্ষিণাঞ্চলের সাদা-সোনা খ্যাত চিংড়ী মাছসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকে। সড়কটির উপর দিয়েই এ অঞ্চলে উৎপাদিত হাজার হাজার টন চিংড়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোসহ বিদেশেও রপ্তানী হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব অর্জন করে থাকে। ফলে এটি উপজেলার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ৮কি.মি. এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। সড়কটিতে যানবাহনে চলাচলের দূর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে পায়ে হেঁটে চলাকে নিরাপদ মনে করছে। এ ব্যাপারে কথা হলে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, আমি সরেজমিন হেঁটে দেখি আম্পান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই রাস্তাটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। আগামী ৩-৪ মাসের ভিতর কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হলে বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘদিন যোগাযোগ করে আসছি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হলে যাতায়াতের জনদূর্ভোগ থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। বুধবার থেকে আমার লোকজন কাজ করবে।