প্রায় দুই বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান নারী হত্যার দায়ে এক বাংলাদেশি যুবককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের আদালত।
নিহত ইন্দোনেশিয়ান নারীর নাম নুর হিদায়াতি ওয়ার্টনো সুরতা (৩৪)।
তার সঙ্গে ওই বাংলাদেশির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই বাংলাদেশির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি আদালত।
সোমবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসহ সিঙ্গাপুরের জাতীয় দৈনিকগুলোতে এ তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ান নুর হিদায়াতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাংলাদেশি যুবকের। তবে একসময় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বাংলাদেশিকে ছেড়ে অন্য একজন যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন নুর হিদায়াতি। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ওই বাংলাদেশি। নুর হিদায়াতি ফিরে আসতে বারবার অনুরোধ জানালেও তিনি অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুর হিদায়াতিকে হত্যার ছক আঁকেন বাংলাদেশি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের গোল্ডেন ড্রাগন হোটেলে রুম ভাড়া করে সেখানে নুর হিদায়াতিকে ডেকে আনেন বাংলাদেশি যুবক। হোটেল রুমে শ্বাসরোধ করে নুর হিদায়াতিকে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি।
হত্যার কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশি যুবক আদালতকে জানান, নুর হিদায়াতি তাকে ছেড়ে অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। তাকে ফিরে আসতে বললে তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার নতুন বয়ফ্রেন্ড তোমার চেয়েও সুপুরুষ ও সম্পদশালী।’ নুর হিদায়াতির এমন কথায় তিনি প্রচণ্ড অপমান বোধ করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
রায় প্রসঙ্গে বিচারক বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ইন্দোনেশিয়ান নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হোটেলে প্রবেশের আগে পকেটে দড়ি নিয়ে ঢুকেছিল হত্যাকারী যুবক। ইন্দোনেশিয়ান নারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আগেই সব অর্থ তুলে ফেলা হয়েছিল।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, ওই বাংলাদেশি যুবক মনোরোগে আক্রান্ত।
যদিও এর পক্ষে উপযুক্ত যুক্তিপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি আসামিপক্ষের আইনজীবী।