বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় ভিন্নধর্মাবলম্বীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ থানার উদ্যোগে চলমান শৈতপ্রবাহে কষ্টে থাকা ভিন্নধর্মাবলম্বী অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শীতবস্ত্র বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ থানা আমীর এমদাদ উল্লাহ, থানা সেক্রেটারি সাদেক বিল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করে। যে কোন দুর্যোগে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মানুষের প্রতি ইসলামের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গিই আমরা সবসময় লালন করে থাকি। আমরা বিজয়ের অর্ধশত বছর অতিক্রম করলেও এদেশের মানুষের প্রকৃত বিজয় আজও আসেনি। এখনও নিজেদের অধিকার আদায়ে এদেশের মানুষকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী কারো উপরে অন্যায় ও জুলুম-অত্যাচার করেছে এটা বাংলাদেশের কেউ মন থেকে বিশ্বাস করে না। অথচ যারা দেশ ও স্বাধীনতার কথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে জামায়াতকে অপবাদ ও নিন্দা ছুড়ে দেয় প্রকৃত পক্ষে তারা মিথ্যাচার করে। তারা নিজেরাই নিজেদের অপকর্মগুলোকে গোপন করতে অন্যদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। আমরা সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের সুখে-শান্তিতে বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ দেশ চাই, যেখানে রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে কোন বৈষম্য ও ভেদাভেদ থাকবেনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি সকল বৈষম্য মুক্ত ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা সবাই এক জাতি, আমরা কোন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মতপার্থক্য করিনা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকল নাগরিকের সুখে শান্তিতে চলাফেরা করার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। অন্যদিকে ইসলাম ছাড়া মানুষের প্রকৃত কল্যাণের কোন পথ নেই। সেই কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের স্বাধীন মানুষ হিসেবে ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা আমরা দিতে চাই। দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। রাসুল সা: এর সোনার মদিনার ইতিহাস আমরা দেখতে পাই যে, সেখানে ইহুদি, খ্রিস্টান সহ সকল ধর্মের মানুষেরা সুখে-শান্তিতে নিরাপদে বসবাস করতে পারতেন, যার যার ব্যক্তিগত অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থাকার ফলেই তা বাস্তবায়িত হয়েছিল। মুহাম্মাদ (সা.) এর আদর্শ ও ইসলামের সুমহান বিধানকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হবে। তিনি দেশের মহান বিজয়কে অর্থবহ করতে ও দেশ গড়ার প্রয়োজনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।