সাতক্ষীরা শহরে অর্থ লোভী পুরুষ শিকারী হোসনেয়ারা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সদর উপজেলার মাগুরার গ্রামের আহসানউল্য¬াহ নামের এক যুবককে মারপিটের পর আটকে রেখে ৬০ হাজার টাকা ও চেক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তার পিতা পল্ল¬ী চিকিৎসক মো. আশরাফ আলীর দেওয়া মামলার প্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর বিকালে পুলিশ ওই নারীকে আটক করে।
ভুক্তভোগী আহসানউল্য¬াহ নামের ওই যুবক অভিযোগ করে বলেন, হোসনেয়ারা খাতুন কালীগঞ্জের কাশিবাটি নলতা এলাকার মৃত মহিউদ্দিন খানের মেয়ে। হোসনেয়ারার স্বামী শ্যামনগরের পদ্মপুকুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকায় ঘরভাড়া করে নিজে উপস্থিতিত থেকে স্ত্রীকে দিয়ে একাধিক পুরুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে আসছে বহুদিন ধরে।
আহসানউল্য¬াহ আরও বলেন, হোসনেয়ারার একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বিয়ে ও করেছে বহু পুরুষের সাথে। আমাকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে বিয়ে করে। পরে আমাকে আটকে রেখে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে মিমাংসার কথা বলে দফায় দফায় ২২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, হোসনেয়ারা ও তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম আমার কাছে গত কয়েক দিন ধরে টাকা চেয়ে আসছিলো। টাকা না দেওয়ায় গত ১০ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে কাটিয়া লস্কারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বিদ্যালয়ের তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হোসনেয়ারার ছেলে তানভীর আহম্মদ, স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও হোসেনের আরা নিজে আমাকে পথের মাঝে আটকে টাকা চাইলে আমি দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে ধারলো দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে।
তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় ৩টি স্থানে গভীর ক্ষত হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা আসলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। হামলাকারীরা এ সময় আমার কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও একটি চেকের পাতা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় গত ১৩ ডিসেম্বর আমার পিতা মো. আশরাফ আলী বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানয় তিনজনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাই মামলা করেন। এমামলার তিন নাম্বার আসামি হোসনেয়ারাকে আটক করলেও বাকি দুই আসামিকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ