নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে প্রেসিডেন্টকে দেয়া দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। অভিযোগের কোনোটারই ভিত্তি আছে বলে তিনি মনে করেন না। রোববার বিকালে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া দেন। কী উদ্দেশ্যে বিশিষ্টজনরা এমন করেছেন তা জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন, সেটা তারাই বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, বিশিষ্টজনরা দুয়েকটা পত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টা যে পত্রিকা ছেপেছিল, সেখানে আমরা রিজয়েন্ডার দিয়েছিলাম। আমরা জানি না, সেটা তাদের নজরে এসেছে কি না। দ্বিতীয়ত, গাড়ি ব্যবহারের বিষয়; আমার মনে হয় না আমাদের সেই প্রয়োজন আছে। কারণ আমাদের প্রাধিকারভুক্ত যে গাড়ি, সেটাই আমরা শপথ নেয়ার তিন বছর পর পেয়েছি।
যে গাড়িগুলো তারা অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন, আমরা জানি না বিলাসবহুল ছাড়া অন্য গাড়ি কোনগুলো। আমি তো দেখেছি, সেগুলো ইউএনওরাও ব্যবহার করছেন। বাড়তি গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা আমার নাই, আমার বিশ্বাস অন্যদেরও নাই।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছে তারা অভিযোগ উত্থাপন করলেন, আবার আমাদেরকেও অভিযুক্ত করে ফেললেন। আমাদের কী করণীয় বা আমাদের কী দণ্ড সেটাও এক অর্থে তারা দিয়ে দিলেন। সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত বা শিষ্টাচারবর্জিত কি না, সেটা বিবেচনার ভার আপনাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট চেষ্টা করছে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু করণীয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।