দেওয়ানবাগী পীর হিসেবে পরিচিত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা সোমবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।তিনি রাজধানীর আরামবাগে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন।
ইসলামপন্থীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন, দেওয়ানবাগীর পীর হিসেবে পরিচিত সৈয়দ মাহবুব ও তার পরিবারের সদস্যরা সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পান বলে দাবি করেন। এছাড়াও ইসলামের বিভিন্ন বিষয়, ইসলামের নবীকে নিয়েও তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
১৯৪৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মাহবুব। সেখানকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি।
ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতানা আহমেদ চন্দ্রপুরীর মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন।
এর কিছুদিন পরে নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামের একটি স্থানে আস্তানা তৈরি করেন। সেখানে নিজেকে সুফি সম্রাট হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তার নামের সঙ্গে দেওয়ানবাগী শব্দটি যুক্ত হয়।
পরবর্তীতে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম শুরু করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বিবিসি বলেন, উল্টাপাল্টা ফতোয়া দিয়ে তার উত্থান হয়েছে। ইসলামকে কাটছাট করেছেন তিনি। তিনি বেহেস্ত দিয়ে দেবেন, আল্লাহকে দেখেছেন, এসব বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসলে মানুষ তো অন্ধ ভক্ত। বাঙালিরা অনেকে বেশি হুজুগে নামছে। এই জন্য তার ভক্ত হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে সৈয়দ মাহবুবের মন্তব্যে অন্যান্য পীরের সমর্থক ও তার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনরা। দেওয়ানবাগী পীরের মৃত্যুর পরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।