মোঃ রুহুল আমিন,চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছায় ভেজাল কীটনাশকে হাট-বাজার সয়লাব। আসল-নকল চিনতে না পেরে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষক ফসলে দিচ্ছেন সার-কীটনাশক কিন্তু উপকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে উপকারের পরিবর্তে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উপজেলার কৃষকেরা।
কৃষি অফিসার বলছেন, অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কৃষি পণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের অভিযোগ,আকর্ষণীয় মোড়কে বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের কীটনাশক। দামও বেশি। প্যাকেটের গায়ের দামেই কৃষকরা কিনছেন এসব কীটনাশক। এরপর ফসলে ব্যবহার করে ফলাফল মিলছে শূন্য। সারের বেলায়ও একই অবস্থা।
উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের লাভলুর রহমান, চাঁদপাড়া গ্রামের আবুজাফর, মহাতাফ উদ্দীন জানান, এ বছর আমন মৌসুমে কোনো কিটনাশকে কাজ করেনি। যে কারনে আমন চাষে রোগ পোকা দমন করতে পারিনি। এজন্য লজ হয়েছে তাদের।
কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৭ ডিসেম্বর উপজেলার লিটন এন্টার প্রাইজে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভেজাল কিটনাশক ধ্বংস করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
ডিলাররা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ে সার-কীটনাশকের মান পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । কৃষকরা বলছেন, যাদের দেখার দায়িত্ব দুইএকজন চেষ্টা করলেও বেশিরভাগই কোম্পানীগুলোর কাছে ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, দেশে অনেক নিম্নমানের কোম্পানি আছে। তারা এগুলো বাজারজাত করে থাকে। চাষীরা না বুঝে এগুলো কিনছে। অসাধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অভ্যাহত রয়েছে।