ক্রাইমবাতা রিপোটঃ প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনের ফলাফল বর্তমান সরকারের আগের আমলের নির্বাচনের মতোই পূর্ব নির্ধারিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, পৃথিবীজুড়ে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম পদ্ধতি এসব নীল-নকশার অন্যতম সহযোগী পদ্ধতি। এর মধ্য দিয়ে প্রোগ্রাম করাই থাকে কাকে কোনটা সিট কত ভোট দেয়া হবে। যে বোতামই টেপা হোক, এর ২টা ধানের শীষে গেলে ৮টা নৌকায় যাবে। বিএনপি মনে করছে, এখন স্থানীয় নির্বাচনগুলোও জালিয়াতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিয়ে নিচ্ছে যা অতীতে কখনই হয়নি। ৮০% এর বেশি ভোট পড়াকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ২০২১ সালে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবার প্রত্যাশা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নতুন বছরের দিকে দেশের জনগণের যে অধিকার রয়েছে, সে অধিকার ফিরিয়ে পাবার জন্য আমার অবশ্যই প্রত্যাশা করবো।
সেই সাথে প্রত্যাশা করবো জনগণ তাদের অধিকার ফিরিয়ে পাবার জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে।
মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস আসার পরে কয়েকটি জিনিস খুব পরিষ্কার হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবচেয়ে ভঙ্গুর। এখানে সরকারি যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে সেটি সবটাই দুর্নীতি দিয়ে ভরা। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার যে সুযোগ এটি এখানে সবচেয়ে কম। তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে ভারত থেকে। এটা কে সংগ্রহ করবেন, একজন ব্যক্তি মালিকাধীন মানে একটি কোম্পানি যার মালিক হচ্ছেন এই সরকারের উপদেষ্টা। তারা প্রায় দেড় ডলার বেশি দিয়ে এগুলো আনবেন। সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে চুরি করার যে একটা প্ল্যান থেকে যায় ঠিক সেভাবে তারা এই চুরিগুলো করছে। ২০২০ শুধু বিএনপির জন্য নয় পৃথিবীর জন্য একটা খারাপ বছর উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই বছরে সরকারের কর্তৃত্ববাদের যে চেহেরা তা আরো প্রচণ্ডভাবে বেরিয়ে এসেছে। ডিজিটাল আইনে অনেক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণ আর দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সেই সাথে জনগণের অধিকার হরণ এই বছরেই সব থেকে বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আমিন সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।