বিলাল মাহিনী (অভয়নগর, যশোর) :সম্প্রতি ক্রাইম বার্তা অনলাইনে’ অভয়নগরের সংগ্রামী নারী ফেরিওয়ালা শেফালী বেগম সহায়তা চান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হলে ফেরিওয়ালা শেফালী বেগমের পাশে দাঁড়ালেন অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন খান।
সোমবার দুপুরে অভয়নগরের ইউএনও মো. নাজমুল হুসেইন খান সংগ্রামী ওই নারী ফেরিওয়ালা শেফালী বেগমের খোঁজ নিয়ে তাকে উপজেলায় হাজির করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও যৌথভাবে শেফালী বেগমের সাথে তার অভাব-অনটনসহ সাংসারিক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে তাকে স্বাবলম্বী করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে ইউএনও মো. নাজমুল হুসেইন খান জানান, যাতে সংগ্রামী ওই নারী ফেরিওয়ালা শেফালী বেগমকে আর হাটে-বাজারে, ওলিতে-গলিতে ঘুরে ঘুরে মাথায় ঝুড়ি নিয়ে ফেরি করে কলা বিক্রি করতে না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে ওই নারী ফেরিওয়ালার হাতে দুটি কম্বল ও দশ কেজি চাল তুলে দেয়া হয়। তাছাড়া তাকে একটি মুদি দোকান করে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারী ফেরিওয়ালা শেফালী বেগম কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আগামীতে হয়তো আর দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে ‘কলা লাগবে কলা, লাগবে পাকা কলা’ বলে আর কষ্ট করতে হবে না। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
এ সময় নারী ফেরিওয়ালাকে শীতবস্ত্র ও চাল বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর ও ইউএনও মো. নাজমুল হুসেইন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিজিবুল ইসলাম ও তারিম আহমেদ ইমন।