স্টাফ রিপোর্টার একাত্তর টিভির খবরে পি কে হালদারের প্রচারিত বক্তব্য এবং ‘টকশোর’ ভিডিও ক্লিপ তলব করেছে হাই কোর্ট। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে তা হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ যে কোনো দন্ডিত ও পলাতক আসামির বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার প্রচার-সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।
পরবর্তী আদেশ অথবা পি কে হালদার সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
গত সোমবার রাত ১০টার খবরে পালাতক পি কে হালদারের বক্তব্য প্রচারে পর এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তাকে সরাসরি সংযুক্ত করে একাত্তর টিভি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি নজরে এনে লিখিত আবেদন করলে বুধবার কোর্ট বেঞ্চ নিষেধাজ্ঞা জারির ওই আদেশ দেয়। আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সোমবার রাতে একাত্তর টিভিতে পি কে হালদারের বক্তব্য প্রচার ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তার যুক্ত হওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি আদালতে বলেন,সোমবার রাত ১০টায় একাত্তর টিভিতে পলাতক পি কে হালদারের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছে। এরপর আবার টক শোতেও ওই আসামিকে লাইভে এনেছে। আমাকেও সংযুক্ত করেছিল।
আমি তার (পি কে হালদার) কথা শুনে লাইভ থেকে বেরিয়ে আসি। আমি তো কোনো পলাতক আসামির সঙ্গে টক-শো করতে পারি না। প্রথম কথা হল, পি কে হালদার পলাতক। দ্বিতীয় কথা হল তার বিষয়ে এই আদালতে একটা স্বতঃ প্রণোদিত মামলা বিচারাধীন। তাই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন পি কে হালদারের প্রচারিত সাক্ষাৎকারে কী আছে। এই আদালত সেই ভিডিও, সাক্ষাৎকার তলব করে দেখতে পারে। এরপর প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারেন। দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে আদালত লিখিত আবেদন করতে বললে বুধবার সেই আবেদন জমা দেয় দুদক।
আবেদনে সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যে কোনো প্রচার মাধ্যমে পলাতক পি কে হালদারের বক্তব্য প্রচার, পুনঃপ্রচার ও সম্প্রচার বন্ধে তথ্য সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সেই সঙ্গে পি কে হালদারসহ যে কোনো পলাতক আসামির বক্তব্য প্রচার বিতরণ ও সম্প্রচার বন্ধেরও নির্দেশনা চায় দুদক। এ আবেদনের শুনানির পরই আদেশ দেয় হাই কোর্ট