ক্রাইমবাতা ডেস্করিপোটঃ বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ শেষে এখন সমাবেশ চলছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ সমাবেশ শুরু হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আজ। দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে দিনটিতে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হন।
সমাবেশকে ঘিরে প্রেসক্লাবের আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ের পশ্চিম সড়ক হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতাকর্মীরা বাধা অতিক্রম করে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশকে এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায়।
এক পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করেন।
শিল্পকলা একাডেমির সামনেও নেতাকর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি যুগান্তরকে বলেন, সকালে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে আশেপাশের এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে নেতাকর্মীরা। বাধা অতিক্রম করে যেতে চাইলে তাদেরকে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম শামীম বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যারা বিশৃঙ্খল তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে বলেছি। এর বাইরে কিছুই হয়নি।